ছবি : সংগৃহীত
শীত আসি আসি করছে। নতুন ধানের চালের গুড়া এখন অনেকের ঘরে, খেজুর গুড়ও চলে আসবে কিছুদিনের মধ্যে। সন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে গেছে। তবে চাইলেও হয়তো তিল নারিকেল পুলি পিঠা খুঁজে পাবেন না শহরের অলিগলিতে। অথচ চাইলেই খুব সহজে বানানো যায় এই পিঠা। আবার বাসায় হঠাৎ অতিথির আগমন ঘটলেও খুব সহজেই এটি তৈরি করে খাওয়াতে পারবেন। রইলো রেসিপি-
প্রথমেই বানাতে হবে পিঠার পুর। তার জন্য লাগবে নারিকেল কোরানো ১টি, খেজুরের গুড় ১.৫ কাপ, সাদা তিল ১/২ কাপ পরিমাণ, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২/৩টি, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন পুর
প্রথমে একটি পাত্রে নারিকেল, খেজুরের গুড়, তিল, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ভালো করে নেড়ে নেড়ে ভেজে নিন। পুর হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন আর দারুচিনি, এলাচ আর তেজপাতা উঠিয়ে ফেলে দিন।
তারপর বানিয়ে নিন পুলি পিঠা। তার জন্য লাগবে চালের গুঁড়া ৩ কাপ, ময়দা ২ কাপ, পানি ১/৩ কাপ এবং লবণ স্বাদমতো।
আরো পড়ুন : শীতের ক্ষীরসা পাটিসাপটার সহজ রেসিপি
যেভাবে বানাতে পারেন পিঠা
একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি ফুটিয়ে তাতে স্বাদমতো লবণ, চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে ঢেকে রাখুন। সেদ্ধ হলে একটু নাড়িয়ে নামিয়ে নিন, তারপর হাত দিয়ে মথে নিতে হবে। এরপর ডো দিয়ে রুটি বেলে রুটির চারপাশে পুর দিয়ে আটকে দিন। একটা রুটিতে ২-৩টা পিঠা হবে, একইভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নিতে হবে। চাইলে সুন্দর নকশাও করে দিতে পারেন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে বানানো পিঠাগুলো লাল করে ভেজে নিতে হবে। ব্যস তৈরি হয়ে গেল তিল নারিকেলের পুলি পিঠা ।
গুড়ের পরিবর্তে চিনি দিতে পারেন। এই পিঠা চাইলে তাওয়ায় ভেজে অথবা ভাপ দিয়েও খেতে পারেন। মিষ্টি নিজের পছন্দমতো কম বা বেশি দিতে পারেন। এই পিঠা ফ্রোজেন করে ১-২ মাস ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। হঠাৎ বাসায় অতিথি এলে তাদের আপ্যায়নে যখন ইচ্ছে তখন বের করে ভেজে খেতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে/