ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন পেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্লাদিমির পুতিনকে নিবন্ধন দিয়েছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (২৯শে জানুয়ারি) তার নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হয়। অবশ্য দেশটিতে পুতিনের মতো ‘জনপ্রিয়’ ও ‘শক্তিশালী’ আর কোনো প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনে তার জয় একপ্রকার নিশ্চিত।
রুশ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে ডানপন্থি ফায়ারব্র্যান্ড ও পুতিনের অনুগত লিওনিড স্লুটস্কিকেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
এদিকে, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পেরেছেন উদারপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস নাদেজদিন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ক্রেমলিন বলছে, নাদেজদিনকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হচ্ছে না।
এদিকে, মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো রাশিয়ার পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। আর এবারের নির্বাচনে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের ভোট পর্যবেক্ষণে বাধা দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাছাড়া ২০২০ সালে বিতর্কিত সাংবিধানিক সংস্কারের পর পুতিনের সামনে এখন অন্তত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ রয়েছে।
অবশ্য অনেক আগে থেকেই রাশিয়ার একাধিক কূটনীতিক, গোয়েন্দা ও অন্যান্য কর্মকর্তা বলে আসছেন, পুতিন আজীবন রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন। তাকে নির্বাচনের মাঠে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে এমন কোনো হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাছাড়া রাশিয়ার ৮০ শতাংশ মানুষ তার পক্ষে।
আরও পড়ুন: ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করতে চীন-থাইল্যান্ড চুক্তি
রাষ্ট্র কাঠামো ও গণমাধ্যমও পুতিনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, পুতিনের দীর্ঘ শাসন নিয়ে মূলধারার জনসাধারণের মধ্যে কোনো বিরোধিতা বা সমালোচনা নেই।
তবে অনেকের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন পুতিন। ১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর এই যুদ্ধ কেন্দ্র করেই পশ্চিমাদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে পশ্চিমারা। যদিও পশ্চিম থেকে মুখ ফিরিয়ে পুতিন এখন এশিয়া ও আফ্রিকার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
সেই ১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন ৭১ বছর বয়সী পুতিন। জোসেফ স্ট্যালিনের পর যে কোনো শাসকের চেয়ে তিনিই দীর্ঘদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন। পুতিনের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের মতো সংকটময় পরিস্থিতিতে তারই ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।
সূত্র: এনডিটিভি
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন