ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার (৫ই অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেলে রাজধানীর ভাটারা থানা-পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই চাঁদ মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপূর্ব পাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে অপূর্ব পালকে স্থায়ী বহিষ্কারের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে ওই দিন সকালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভেতরে ওই শিক্ষার্থী কোরআন শরিফ অবমাননা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত অপূর্ব পাল নিজেও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিও প্রকাশ করেন। পরে মধ্যরাতে উত্তেজিত একদল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অপূর্বর বাসার নিচে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপূর্ব পালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে আটকের পর বিক্ষুব্ধ জনতা ও শিক্ষার্থীরা অপূর্বকে মারধর করেন। অপূর্বকে থানায় আনার পর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই হাসমত আলী শিক্ষার্থী অপূর্বর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে বলেছেন, এ আসামি কোরআন অবমাননার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব পাল কোরআন শরিফ অবমাননার কথা স্বীকার করেছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন