ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
প্রতিবছর ৫ হাজার ৫শ ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে চার হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক ‘সাহায্য’ দেওয়া হয়। এ সংখ্যা এবং সাহায্যের পরিমাণও ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার, ২০ হাজার ও ২৫ হাজার এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে সর্বমোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আয়বর্ধক বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ট্রাস্টের আয় বাড়িয়ে ভবিষ্যতে সকল ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অনুদানের আওতায় আনা হবে। এই লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদের ডেটা বেইস তৈরি করা হচ্ছে জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য (এমপি) মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য দেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ধর্মমন্ত্রী জানান, দেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। এতে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে এ মসজিদগুলো। এদের মধ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে দেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
সংসদকে ধর্মমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তাদের প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়িয়ে অন্যান্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সম্মানীর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন