বৃহস্পতিবার, ১৭ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন *** প্রচলিত প্রবৃদ্ধির মডেল পর্যালোচনা করা প্রয়োজন: হোসেন জিল্লুর রহমান *** শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল, আদালতে মডেল মেঘনা *** সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলবে, বোঝাতে চাই—বিএনপি এ বিষয়ে সিরিয়াস: সালাহউদ্দিন

ক্যাপসিকামের ব্যাপক ফলনে কৃষকের ভাগ্যবদল

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ৩০শে জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ভোলার চরাঞ্চলের মাটি উর্বর ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর জেলায় ক্যাপসিকামের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলে খুশি কৃষকরা। ভোলার ক্যাপসিকাম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। ফসলটি চাষ করে এখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন বেকার যুবকরা। অন্য ফসলের চাইতে কম সময় ও স্বল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন এর চাষের দিকে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, কৃষি বিভাগের সহায়তা ও উদ্যোগ থাকলে ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। 

ভোলার কৃষকরা ধানী জমির পাশে কিছুটা উচু ও পতিত জমিতে এই ফসল চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কেউ কেউ মাছের খামার ও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ক্যাপসিকাম চাষ। এতে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া আর রোগ বালাই না হলে, খরচ পুষে দ্বিগুণ লাভবান হওয়ার কথাও জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা সদর উপজেলার মাঝের চর, রাজাপুর, বড়াইপুর, রামদাসপুর, চর চটকিমারা, চর হোসেন, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চর, মাঝের চর, বোরহানউদ্দিনের চর লতিফ, গঙ্গাপুর চর, চর ব্যারেট, চর ছমিরউদ্দিন, লালমোহনের কচুয়াখালী চর, চর শাহজালাল, তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরউদ্দিন, মনপুরার চর কলাতলি, ঢালচর, বদনার চর এবং চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলাসহ বিভিন্ন চরে ধানের পাশাপাশি সবজি চাষ চলছে বছরের পর বছর ধরে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ১০ বছর ধরে ফসলী জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। অন্যান্য বছরগুলোতে ব্যাপক ফলন না হলেও এবার ফসলটির বাম্পার ফলন হয়েছে। 

এসব চরে এ বছর শত শত হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকামের চাষ হয়েছে।

স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দস্তগীর সিকদার বলেন, চরের জমিতে এখন ক্যাপসিকামের সমারোহ সকলের দৃষ্টি কাড়ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও প্রতিদিন ভোলা শহরসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।  

ভোলা সদরের মেঘনা মধ্যবর্তী মাঝের চরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও এর ব্যাপক ফলন হয়েছে। ওই চরের কৃষক আলাউদ্দিন ও আবুল বাশার জানিয়েছেন, তাদের ১৬ একর জমিতে চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭ লাখ টাকা। সব খরচ পুষিয়ে টার্গেটের চাইতেও বেশি লাভবান হয়েছেন। যার পরিমাণ কমপক্ষে ১২ লাখ টাকা। আরো যে পরিমাণ জমিতে রয়েছে তাতে ব্যাপক লাভবান হওয়ারও আশা করছেন তারা। 

ক্যাপসিকাম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরজুড়ে অন্যান্য ফসল চাষ করে যা আয় হয় তার চাইতে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায় মৌসুমের এক ফসল ক্যাপসিকাম দিয়ে।

আরও পড়ুন: কৃষকের জন্য ‌স্মার্ট কার্ড চালু করবে সরকার

এসি/কেবি/ আই.কে.জে/   


ক্যাপসিকাম চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন