ছবি : সংগৃহীত
গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সব থেকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর হলো টক দই। শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে, ডিহাইড্রেশন রুখতে, পেট ঠান্ডা রাখতে ও হজমশক্তি বাড়াতে টক দই খাওয়া উচিত। তবে বেশিরভাগ সময় দোকান থেকে টক দই কিনে নিতে হয়। কারণ বাসায় বানানের পরও দোকানের মতো স্বাদ পাওয়া যায় না। তবে আপনি চাইলেই দোকানের মতো টক দই বানাতে পারবেন মাত্র ৪ উপায়ে।
দোকানের মতো জমাট ও খুব বেশি টক নয়, এমন সুস্বাদু দই বানাতে হলে সবচেয়ে সহজ কিছু উপায় নিম্নরূপ—
দই যাতে টক না হয়, তার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দুধে দই যোগ করার আগে, ছোট বাটিতে অল্প দুধ ও সাজা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দুধে দই যোগ করার সময়, চুলার আগুন কমিয়ে বা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এরপর দই না হওয়া পর্যন্ত দুধ ফেটিয়ে নিতে হবে।
আরো পড়ুন : জেনে নিন কোন ডালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি
দিনের বেলা কখনো দই তৈরি করবেন না। সব সময় রাতে দই বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তাপমাত্রা কম হলে টক দই পাতা যাবে না। দই পাতা হয়ে গেলে কখনো বারবার দইয়ের পাত্র খুলে দেখবেন না।
বারবার দই খুলে দেখলে দই ঠিক করে জমাট বাঁধে না। সারারাত জমাট বাঁধার পর সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
যদি চান বাড়িতে সেটা করার সময় স্বাদে টক না হয় তার জন্য দুধের ওপর থেকে সরটি তুলে নিতে হবে। তাতে টক ভাব কমে যায়। সুতির বা মসলিনের কাপড়ে টক দই সারারাত রেখে একটি চালুনিতে ছেঁকে রাখতে পারেন। তাতে অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে। দইয়ে থাকা দুধের ঘনত্ব বেড়ে গেলে জমাট ও ঘন হয়ে যায়।
গরম জায়গায় দই রেখে দিলে দই দ্রুত টক হতে শুরু করবে। দই সবসময় ঘরের তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য ঠান্ডা জায়গায় বা ফ্রিজে রাখা উচিত। দইয়ের পাত্র মাটির পাত্রের ভেতর বা এসি বা কুলারের ঘরেও রাখতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে