শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে রাশিয়া: পুতিন *** আড়াই ঘন্টা বাইরে থেকে খাঁচায় ফিরল সিংহী ডেইজি *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি *** খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাচ্ছে কাতার *** প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা মাহফুজ আনামের *** প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত তেলের জন্য হাঙর শিকার, বিলুপ্তি ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ *** শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘তারেক রহমান যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে পারতেন’ *** শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

‘এখনো সাংবাদিকেরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক হচ্ছেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:১৭ অপরাহ্ন, ২৪শে নভেম্বর ২০২৫

#

ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেনের প্রশ্ন, পুলিশ কি পুরোনো নিপীড়ন বন্ধ করবে? আইনের অপব্যবহার হলে পুলিশ কি জবাবদিহির মুখোমুখি হবে? আদালত কি সাহস দেখাবেন? তিনি বলেন, এখনো সাংবাদিকেরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক হচ্ছেন।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন–সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা’ বিষয়ক এক আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে সারা হোসেন এসব প্রশ্ন তোলেন। 

আজ সোমবার (২৪শে নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি পর্বে এই আলোচনা হয়।

গত এক বছরে সাংবাদিকদের নির্বিচার গ্রেপ্তারের ধরন কমেছে বলে উল্লেখ করেন সারা হোসেন। একে ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু আদালতের ভূমিকা আরও বিশ্লেষণ করা দরকার। গবেষণায় বিচারিক আদেশগুলো বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ জবাবদিহিহীন ছিল। একইভাবে বিচারব্যবস্থাও কতটা স্বাধীন ছিল, তা দেখা দরকার।

এখনো সাংবাদিকেরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন সারা হোসেন। তিনি বলেন, অর্থাৎ সমস্যা শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ), সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) নয়। সমস্যা হলো বৃহত্তর মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়।

সারা হোসেন বলেন, শুধু সাইবার আইন না, এখন যে অবস্থা, তাতে দেখা যাচ্ছে, আবার নতুন করে অনেকে বিশেষ আমলের দণ্ডবিধিকে আবিষ্কার করছে। সাইবার সুরক্ষা আইনের বাইরে গিয়ে নানা দিকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে মব চলছে। মব দিয়ে মামলাটা যাতে ঠিকমতো না চলতে পারে, আইন নিজের মতো যাতে না চলতে পারে, জোরজবরদস্তির কারণে অন্যদিকে যাতে চলে যায়, সেই অবস্থা সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, পুরোনো আইনগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটি দেখা দরকার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের অনুমোদন ছাড়া এখন ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নিয়ে নিচ্ছে। পুলিশও ব্যবস্থা নিচ্ছে।

প্রেস কাউন্সিল যথাযথভাবে কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন সারা হোসেন। তিনি বলেন, তাই গণমাধ্যম কমিশনের যে সুপারিশ এসেছে, তা ভালো। পাশাপাশি এই মুহূর্তে মানবাধিকার ও তথ্য কমিশনকে সক্রিয় করা প্রয়োজন, যাতে সবকিছু আদালতে না গিয়ে এসব কমিশনে সমাধান আসে।

সারা হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছিল, তা কখনোই বিচার শেষ করার জন্য ছিল না; বরং কথা বলা বন্ধ করার জন্য, লেখা বন্ধ করার জন্য করা হয়েছিল।

এখন আইনি কাঠামোতে পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে সারা হোসেন বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের গাইডলাইন এখন সিআরপিসি সংশোধনীতে যুক্ত হয়েছে। এটা বড় অগ্রগতি; কিন্তু বাস্তবায়ন এখনো দুর্বল।

সিজিএসের গবেষণা সহযোগী রোমান উদ্দিনের সঞ্চালনায় এই পর্বে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী, ট্রায়াল ওয়াচের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মানেকা খান্না।

জে.এস/

সারা হোসেন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250