ছবি : সংগৃহীত
একদিকে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুর রাইডার্স, অন্যদিকে তাদের স্কোয়াডে আছেন একদিন পরই জাতীয় দলের শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের তিন ক্রিকেটার। ফলে ফাইনালে রংপুর সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন ও আফিফ হোসেনকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা খেললেনই, দলের শিরোপা জয়েও সৌম্য-শেখ মেহেদী রাখলেন বড় অবদান। অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্টটির প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালই অংশ নেওয়ার কথা ছিল গ্লোবাল সুপার লিগে। তাদের অনিচ্ছায় সেমিফাইনালেই বিদায় নেওয়া রংপুর রাইডার্স বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেয়। যেখানে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হেরে যায় নুরুল হাসান সোহানের দলটি। শেষ দুই ম্যাচ জিতে নেট রানরেটের সমীকরণ মিলিয়ে ওঠে ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা ৫৬ রানে জিতেছে।
আরো পড়ুন : ভারতকে হারাতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন অধিনায়ক তামিম
প্রথমবারের মতো গায়ানা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের এই আয়োজনে সাফল্য পেল বাংলাদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি। শিরোপা জয়ে টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ অবদান ছিল সৌম্যের। মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে তিনি আরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। ৫৪ বলে খেলেছেন ৮৬ রানের ইনিংস। ৫ ম্যাচে ৪৭ গড় এবং ১৪২.৪২ স্ট্রাইকরেট নিয়ে সৌম্য টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৮৮ রান করেছেন।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই রংপুরের শুরুটাই ছিল দারুণ আক্রমণাত্মক। যদিও পাওয়ার প্লেতে তারা মাত্র ৪০ রান তোলে। ধীরে ধীরে দুই ওপেনার সৌম্য ও স্টিভেন টেলর গতি বাড়ান। উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ১২৪ রান। ৪৯ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬৮ রান করা টেলরের বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। এরপর সাইফ হাসান (৬) ও ওয়েন ম্যাডসেন (১০) দ্রুত বিদায় নিলে বড় পুঁজি গড়া নিয়ে শঙ্কায় পড়ে রংপুর।
সৌম্য শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সেই শঙ্কা ছাপিয়ে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন। এটাই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ৭টি চার ৫ ছক্কায় বাংলাদেশি ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন