শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায্য দাম পেয়ে খুঁশি মৌলভীবাজারের আনারস চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০১ অপরাহ্ন, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

চাষের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর মৌলভীবাজারের পাহাড়-টিলায় আগাম জাতের আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদনের  মৌসুমে ন্যায্য দাম পেয়ে খুবই খুশি চাষিরা। 

প্রতিদিন শ্রীমঙ্গলের আড়ত জুড়ে প্রায় কোটি টাকার আনারস কেনা-বেচা হচ্ছে। মৌলভীবাজারের এই সুস্বাদু আনারস খুব শিগগিরই রপ্তানির চিন্তাভাবনা চলছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

এই প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, মৌলভীবাজারের উৎপাদিত আনারস শিগগিরই বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে সরকার একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে চাষিরা আরও লাভবান হবেন।

জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে সেচ সংকট মোকাবিলা ও অধিক দামে একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর চাষিদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তারপরও এবার আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদনের এই ভরা মৌসুমে চাষিরা আনারসের ন্যায্যদাম পেয়ে খুবই খুশি।

চাষি সামছুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ২০২৪ সালে তিন থেকে চারটি টিলায় আনারস চাষ করেছেন। প্রথম দিকে সেচ সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। তবে সমস্যা কাটিয়ে তার বাগানে আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার আনারস বিক্রি করেছেন।

আরেক চাষি জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত তার বাগান থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার আনারস বিক্রি হয়েছে। তার বাগানে অন্তত আরও দেড় লাখ আনারস আছে। বাজারের এই দাম অব্যাহত থাকলে এই বছর লাভের পরিমাণ বেশি থাকবে।

আরো পড়ুন: ৪১.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলায় আনারসের চাষাবাদ হয়ে এলেও সবচেয়ে বেশি চাষ ও উৎপাদন হয় শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায়।

এখানে ‘হানিকুইন’, ‘জায়েন্ড কিউ’ এবং ‘ক্যালেন্ডার’এই তিন জাতের মধ্যে বিলাতি জাতের আনারস হানিকুইনেরই উৎপাদন হয় বেশি এবং এর চাহিদাও ব্যাপক। গরমের কারণে রসালো ফল আনারসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার আনারস কেনা-বেচা হচ্ছে শ্রীমঙ্গল আড়তে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ১ হাজার ২১৫ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে আনারস চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। 

নতুন বাজার আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, ছোট সাইজের আনারস হালি প্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের আনারস ৮০ থেকে ১০০ এবং বড় সাইজের আনারস হালি প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সর্বাধিক বড় সাইজটা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। 

এই আড়তে প্রতিদিন কম করে প্রায় কোটি টাকার আনারস কেনা-বেচা হচ্ছে। এতে আড়তদাররা যেমন খুশি, তেমনি চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এইচআ/ 

আনারস ন্যায্য দাম

খবরটি শেয়ার করুন