ছবি : সংগৃহীত
অনেক সময় সহজ সমাধানগুলোই ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর। শসা দিয়ে তৈরি পানীয় সেগুলোর মধ্যে একটি। ডিকে পাবলিশিং-এর হিলিং ফুডস-এর মতে, শসার জলীয় সংমিশ্রণে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে, যা এটিকে আপনার পুষ্টি গ্রহণ এবং ওজন কমানোর একটি চমৎকার উপায় করে তুলেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শসা মিশ্রিত পানীয় পান করলে তা কীভাবে বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে-
আরো পড়ুন : এই সময়ে পেট ঠান্ডা রাখতে কোনটি খাবেন, লাউ নাকি পেঁপে?
হজমে সহায়তা করে
শসায় রয়েছে ইরেপসিন, এটি একটি হজমকারী এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সবজিটি পরজীবী বিরোধী হিসাবেও কাজ করে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
তৃপ্তি দেয়
ফাইবারে ভরপুর, শসা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে, যখন তখন খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে।
কম ক্যালোরি
পানির পরিমাণ বেশি এবং ন্যূনতম ক্যালোরি থাকে শসায়। এটি হলো ভীষণ উপকারী একটি খাবার। কাঁচা বা পানিতে মিশিয়ে, যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, ওজন কমাতে চাচ্ছেন এমন যে কারও জন্যই এটি উপকারী খাবার।
হাইড্রেশন বুস্ট
অনেকে তৃষ্ণাকে ক্ষুধা ভেবে ভুল করেন। যে কারণে অপ্রয়োজনীয় নাস্তা খাওয়া হয়ে যায়। শসার পানীয় অতিরিক্ত ক্যালোরি ছাড়াই হাইড্রেশন প্রদান করে, যা আপনাকে তৃষ্ণা এবং ক্ষুধার সংকেতের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে।
দ্রুত বিপাক
শসা-মিশ্রিত পানীয় নিয়মিত পান করলে তা আপনার বিপাককে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে, সেইসঙ্গে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
শসার পানীয় যেভাবে তৈরি করবেন
জগ বা কাঁচের পাত্রে শসার টুকরো রাখুন। বাড়তি সুগন্ধের জন্য লেবুর টুকরো, পুদিনা পাতা বা আদা যোগ করতে পারেন। শসার পানিকে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রাখুন যাতে স্বাদ মিশে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় রেফ্রিজারেটরে সারারাত রাখলে। ঠান্ডা হয়ে গেলে বরফের কিউব ভর্তি গ্লাসে শসার পানীয় ঢেলে দিন। এবার পান করুন।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন