ছবি: সংগৃহীত
বছরের দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে ঘটতে চলেছে বিরল ঘটনা। চোখ ধাঁধানো বিস্ময়কর দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পুরো বিশ্ব। আগামীকাল রোববার (৭ই সেপ্টেম্বর) পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় রক্তের মতো লাল হয়ে উঠবে চাঁদ। বিজ্ঞানীরা একে ‘ব্লাড মুন’ নামে আখ্যায়িত করছেন। যেটি দেখার সৌভাগ্য হবে বাংলাদেশিদেরও। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর ছায়ার ঢুকে যাওয়ার ফলে চাঁদে লাল আভার ছায়া পড়বে। পুরো প্রক্রিয়াটি চলবে আন্তর্জাতিক সময় ১৮:৩০ থেকে ১৯:৫২ পর্যন্ত। তবে চাঁদ উঠার সময় বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর নির্ভর করে গ্রহণ দেখা যাবে। এই বিরল দৃশ্য সবচেয়ে দীর্ঘক্ষণ উপভোগ করতে পারবেন নরউইচের বাসিন্দারা। সেখানে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে ১৯:২৫ মিনিটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে। এ সময় চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করবে। ব্লাড মুন দেখা যাবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। পরের দিন সোমবার রাত ২টা ৫৫ মিনিটের পর চাঁদ পৃথিবীর ছায়া থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসবে।
এবারের চন্দ্রগ্রহণ গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এশিয়া ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে এটি সম্পূর্ণভাবে দেখা যাবে। এ ছাড়া ইউরোপ, আফ্রিকা, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কিছু স্থান থেকে আংশিক দৃশ্য দেখা যাবে। ফলে বিশ্বের ৮৫ ভাগ মানুষই এবারের চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এর ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে আর চাঁদকে ধীরে ধীরে অন্ধকার করে তোলে। এই সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছায়ার মধ্য দিয়ে যায় বলে অনুজ্জ্বল হয়ে লাল রং ধারণ করে। এই রক্তিম আভার পেছনে কাজ করে রেইলি স্কেটারিং নামে একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।
ব্লাড মুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ সুরক্ষা চশমা বা সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে না। ফলে খালি চোখেই নিরাপদে দেখা যাবে। আরও স্পষ্ট দৃশ্য দেখতে চাইলে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন