ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তকে ‘বৈষম্যপূর্ণ, অগণতান্ত্রিক ও নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে নারীপক্ষ। তারা বলেছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার যে প্রতিশ্রুতি ছিল, আমরা সেই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রাখতে চাই। আমরা মনে করি, এখনই সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময়।’ আজ শনিবার (২রা আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তথাকথিত ঐকমত্য আনার জন্য নানা রকম আপস করা হচ্ছে। অথচ এই সিদ্ধান্ত যাদের জন্য বা যাদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে, সেই নারীদের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ করা বা মতামত নেওয়া হয়নি। ঐকমত্য কমিশনে কোনো নারী সদস্য নেই। আমরা ঐকমত্য কমিশনের এই একপেশে, পক্ষপাতদুষ্ট, বৈষম্যপূর্ণ, অগণতান্ত্রিক ও নারীবিদ্বেষী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’
এতে বলা হয়, ‘সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নারী এবং ভোটারদেরও অর্ধেক নারী। তারা যদি সংসদে যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব না পায়, তাহলে গণতন্ত্র শুধু একটি ফাঁপা প্রতিশ্রুতিতেই পরিণত হবে। নারীপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা পুরুষ সংসদ সদস্যদের মতোই সম্মান, মর্যাদা, দায়িত্ব ও ক্ষমতা লাভ করতে পারে।
খবরটি শেয়ার করুন