ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। স্বাধীন এবং সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্যলাভের জন্যই এই হজ পালন।
লোক দেখানো ইবাদত আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। আর এই হজ পালন করতে গিয়ে সেলফি তুলে প্রিয়জনসহ অন্যদের সামনে নিজেদেরকে প্রদর্শনও লোক দেখানোর মধ্যে পড়ে।
অনেকেই হয়তো এমন ধারণা থেকে সেলফি তুলে না। কিন্তু হজ পালনকারীদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। দুনিয়াতে মুমিন মুসলমানের জন্য শয়তানের চেয়ে বড় দুশমন আর কেউ নেই।
বাইতুল্লাহর তাওয়াফ চলাকালে সেলফি; হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করবে সেখানেও সেলফি। আরাফার ময়দানে অবস্থানেও সেলফি। মিনার কংকর নিক্ষেপেও সেলফি।
অবস্থা এমন যে, মনে হয় পবিত্র নগরী মক্কায় সেলফি প্রতিযোগিতা চলছে। মুসলিম উম্মাহর জন্য সেলফিমুক্ত হজ আদায় করা জরুরি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিকাতে পৌঁছা থেকে শুরু করে হজের কার্যক্রমে নিজেকে জাহির, আত্মগরিমা এবং লোক দেখানো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তাছাড়া তিনি হজের প্রত্যেকটি রোকনে আল্লাহর তাসবিহ, দোয়া, জিকির-আজকার এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার শিক্ষা দিয়েছেন। এ থেকে বুঝা যায় বর্তমান সেলফি তোলা ও ভিডিও করা বিশ্বনবির হাদিসের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বিষয়। সুতরাং হজের সময় হাজিদের সেলফি তোলা থেকে বিরত থাকাই আবশ্যক।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে মিকাতে পৌছে বলতেন- ‘হে আল্লাহ! এ হজে নিজেকে জাহির (প্রকাশ করা) ও অন্যকে শোনানোর চেষ্টার ঊর্ধ্বে রাখ।’
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজে গিয়ে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি এমন একটি হজ পালন করতে চাই, যা কোন দম্ভ প্রকাশ বা লোক দেখানো হবে না।’
এই হজের সফরে হাজির জন্য করণীয় আমলের কথা, সেসবের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলতের কথা যেমন কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, তেমনি সে সফরে নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় বিষয়ের কথাও কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। ফলে হজে গমনকারী প্রত্যেকের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও আবশ্যকীয় কর্তব্য হলো, এই বর্জনীয় ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়া ও সর্বপ্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর হজ পালনকারীদেরকে সঠিকভাবে হজের রোকনগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন