ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসন শুরুর পর দেশটিতে দলে দলে নারীরা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে এই মুহূর্তে ৬৭ হাজারের বেশি নারী কাজ করছে। এদের মধ্যে অস্ত্রধারী সৈনিক হিসেবে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী নাটালিয়া কালমিকোভা। তিনি বলেন, নারী সৈনিকরা এখন গুলি চালানো থেকে শুরু করে ভারী আর্টিলারি মেশিনও নিয়ন্ত্রণ করছেন।
নাটালিয়া কালমিকোভা বলেন, ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর নারীদের আলাদাভাবে সংগঠিত না করা হলেও বিপুলসংখ্যক নারী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে শুরু করেন। বর্তমানে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে ৬৭ হাজারের বেশি নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ হাজার সাধারণ কর্মী এবং অন্যরা বাহিনীর বিভিন্ন পরিষেবায় নিযুক্ত বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন: শপথ নিলেন মোদির মন্ত্রিসভার ৭০ সদস্য
নাটালিয়া উল্লেখ করেছেন, ঐতিহ্যগতভাবে সেনাবাহিনীর কাজকে মেয়েদের কাজ মনে করে না ইউক্রেনের সমাজে। তারপরও চলমান পরিস্থিতির মধ্যে নারীরা দলে দলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। তারা এখন গুলি চালানো থেকে শুরু করে ভারী আর্টিলারি মেশিনও নিয়ন্ত্রণ করছেন।
নাটালিয়া জানান, নারী সেনারা প্রায় সময়ই শত্রু শিবিরগুলোতে ড্রোন দিয়ে হামলা পরিচালনা করছেন।
ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে আইন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীতে নারীদের প্রবেশ সহজ করেছিল ইউক্রেন। তবে বর্তমানে এই বাহিনীতে নারীদের পদোন্নতি নিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। সমস্যাগুলো সমাধানেরও প্রক্রিয়া চলছে।
ইউক্রেন বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর ২০২৩ সালে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করা নারীর সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের আগে, নারীরা প্রধানত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এবং কেরানির মতো যুদ্ধবিহীন ভূমিকাগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু সামরিক ভূমিকার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর, এখন সম্মুখ যুদ্ধ এবং নেতৃত্বের দায়িত্বগুলোও সামলাচ্ছেন নারীরা।
এইচআ/
খবরটি শেয়ার করুন