রাজধানীর আগারগাওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুমিন ফারহানা। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য গত ১৫ বছর লড়াই করলাম। তারা আমাকে এখন ধাক্কা দেয়। তো ঠিক আছে, ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই, তাই না! নির্বাচনের আগে সীমানা নিয়ে নিজের দলে এমন পরিস্থিতি হলে নিবার্চনে কী হবে অনুমেয়।’
আজ রোববার (২৪শে আগস্ট) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে শুনানি ছিল। শুনানির একপর্যায়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় রুমিন ফারহানাকে এক ব্যক্তি ধাক্কা দেন বলে তার অভিযোগ। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির এই নেতা সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্যটি করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে বেলা পৌনে ১টার দিকে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি ২০২৪ সালে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ছিল। ইসি সম্প্রতি সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর ইউনিয়ন যুক্ত করে খসড়া প্রকাশ করে।
অন্যদিকে গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর নিয়ে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সঙ্গে ইছাপুর, চম্পকনগর, পত্তন, দক্ষিণ সিংগারবিল, বিষ্ণপুর, চর ইসলামপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন যুক্ত করে ইসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে–বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
আজ দুপুরে শুনানির একপর্যায়ে বিএনপির দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং মারামারি শুরু করে। এরপর ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইসি সচিব পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের জন্য শুনানি শেষ করেন এবং তাদের শুনারি পর কক্ষ ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন