ছবি: সংগৃহীত।
গত ২৪ এপ্রিল, বিকাল ৫টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির আয়োজনে "বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই" শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মানবাধিকার সংস্থার ব্যক্তিবর্গ ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন এ সম্মেলনে।
সম্মেলনটি পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এবং দ্য ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন ফর দ্য ডিফেন্স অফ মাইনরিটিস এর প্রেসিডেন্ট, ম্যানাল মাসালমি। সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন প্রাক্তন ফরাসি গোয়েন্দা এজেন্ট এবং ইউরোপীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালক, ক্লদ মনিকেট, আইএমপিএসি এর সিইও নাইজেল গুডরিচ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ গিউলিয়ানা ফ্রানসিওসা এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ইতালি অফিসের পরিচালক কার্লো কোরাজ্জা।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য লুসিয়া ভুওলো, ইসাবেলা এডিনলফি এবং ফ্রান্সেসকা পেপ্পুচি, এবং ইতালির সিনেটর রবার্টা টফানিন অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারে এবং যে আইনি কাঠামো স্থাপন করতে পারে সে বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন তারা।
ম্যানাল মাসালমি অপপ্রচারের ফলে সৃষ্ট জটিলতাসমূহ সম্পর্কে বর্ণনা করেন। একই সাথে এ অঘটন প্রতিরোধে এবং ইউরোপীয় ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় ইইউ এর গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। মানবাধিকার কর্মীরা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের শিকার হতে পারেন বলেও জানান তিনি।
ক্লদ জানান বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এগুলোর মধ্যে অবশ্যই একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে। রাশিয়া অবশ্য এ বিভ্রান্তিকে সক্রিয় ব্যবস্থা বলতেই পছন্দ করে।
আরো পড়ুন: বাইডেনকে ধসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
পশ্চিমা গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য এবং ন্যাটোকে ধ্বংস করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে রাশিয়া। পূর্বে যেখানে বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হতো, বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে তা অত্যন্ত সহজ হয়ে উঠেছে। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য অতি দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
নাইজেল গুডরিচ জানান, স্কুল পর্যায় থেকেই বাচ্চাদেরকে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার চর্চা শেখাতে হবে, যাতে তরুণদের মধ্যে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত হয় এবং তারা বিভ্রান্তির পথে না এগিয়ে আলোচনার মাধ্যমে যেকোন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারে।
সমাজকর্মী এবং বেলজিয়ামে ভারতীয় প্রবাসীদের প্রতিনিধি, শ্রেয়া কৌশিক বলেন, তথ্য বিভ্রান্তি বর্তমান সময়ের এক বিরাট বড় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধানের জন্য সর্বপ্রথম শিক্ষাগত সংস্কারের কাজ করা উচিত, যেন সমাজ থেকে এই ভয়াবহ অভিশাপ নির্মূল হতে পারে এবং ব্যক্তিরা যেকোন তথ্যের সত্যতা বিচার করতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
গিউলিয়ানা ফ্রানসিওসা ভুল তথ্যের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে এ লড়াই ইইউ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত সকলে। তাছাড়া নতুন প্রজন্মকে ভুল এবং সত্য তথ্যের মধ্যে পার্থক্য করাও শেখানো উচিত।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন