অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক চেং লেইকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অবৈধভাবে বিদেশে আটকে রাখা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার পাঁচ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্ভাবনা রয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রায় ১০০০ দিন চেং লেইকে আটকে রাখার পর পরিবার ও আত্মীয়পরিজন তার মুক্তির দাবি জানায়।
অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক তার এই গ্রেফতারের কারণে নতুন মাত্রা পেয়েছে।
চলমান পরিস্থিতি চীন ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। এ ব্যাপারে চেংয়ের সহকর্মী কোয়েল বলেন, সারাবিশ্ব চেং এর আটককে নেতিবাচকভাবেই দেখছে। যত দ্রুত সম্ভব এ পরিস্থিতির সমাধান করা উচিত।
২০২০ সালের ১৩ আগস্ট, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় চেংকে আটক করে।
কোয়েল বলেন, চেং কে কেন আটক করা হয়েছিল সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। তবে এতকিছুর মধ্যেও চেংয়ের মুক্তির জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এতদিন বন্দি থাকার পরেও চেংয়ের দুর্দান্ত সাহসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সমস্ত অস্ট্রেলিয়া চায় তিনি অতি দ্রুত তার সন্তানদের কাছে যেন ফিরে আসেন।
চেংয়ের বিচারের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে হস্তক্ষেপ করতে দেয় নি চীন। অন্যদিকে বারবার চেংয়ের বিচারকার্য বিলম্বিত হয়েছে এবং এতদিনে একটি রায়ও প্রদান করেনি চীনা আদালত।
খবরটি শেয়ার করুন