ছবি: সংগৃহীত
সারা দেশের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে পাকা আমন ধান। সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
এদিকে, ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে কৃষি বিভাগ বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবং কৃষক ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে আমান চাষ আরো বাড়বে।
সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ জুড়ে আমন ধানের ক্ষেত সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত এক করে কাজ করছেন। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। কেউ কেউ সেই ধান মাথায় নিয়ে ক্ষেত থেকে বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ করছেন মাড়াইয়ের কাজ। সকাল থেকে দিনভর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কৃষকের মুখে নেই হাসি। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভ তো দূরে থাক এই দামে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক।
এক আমন চাষি বলেন, সব কিছুর যে দাম, তাতে ধানের দাম ১৫শ টাকার নিচে হলে কৃষকের লস। যেভাবে খরচ হয়, তাতে কৃষকের বেঁচে থাকা সম্ভব না। তারপরও নিজেদের জমি, চাষ না করে কী করবেন। না খেয়ে তো আর মরা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে লস হলেও চাষ করা লাগে।
আরো পড়ুন : সহজ উপায়ে টবে চাষ করুন ব্রকোলি
নড়াইল সদর উপজেলার আমন চাষিরা বলেন, তারা যে দাম পাচ্ছেন, তাতে খরচের পয়সা উঠে না। এ বছর পোকার (কারেন্ট পোকা) কারণে বিঘা প্রতি ধানের ফলনও কম হয়ছে। তারপর সার-মাটিতে যে খরচ, তাতে চালান একটুও মেলে না। চাষি মানুষ, চাষ করতে হয়, তাই করে যাচ্ছি।
আরেক কৃষক জানান, ধানের ফলন একেবারে খারাপ না। ফলন ভালোই। কিন্তু সার, ওষুধ দিয়ে যে খরচ পড়ে তাতে তাদের মোটেই লাভ থাকে না। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। দাম বাড়ানো উচিত। দাম না বাড়ালে কৃষক বাঁচবে না।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, আমনের ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা আগ্রহের সঙ্গে রোপা আমান চাষ করেছে। তুলনামূলক রোগ-বালাই এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে৷ তবে কৃষকদের একটি আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে ধানের দাম।
এস/ আই.কে.জে