ভোক্তাদের খরচ বাড়াতে এই সপ্তাহে আমানতের উপর সুদের হার কমিয়েছে চীনের বৃহত্তম ব্যাংকগুলো। গত বছরের পর ব্যাংকিং খাতে এটি দ্বিতীয় হ্রাস। মূলত কোভিড-১৯ মহামারীর পর চীনের অর্থনীতি এখনও তেমনভাবে উন্নত হতে পারে নি।
এর মধ্যে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ঘোষণা করেছে যে তারা চাহিদা আমানতের হার ০.২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২ শতাংশ করেছে। ব্যাংকগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমানতের সুদের হার কমিয়েছে বলে জানা যায়।
চীনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক পাঁচ বছরের আমানতের হার ২.৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে এবং তিন বছরের হার ২.৬ শতাংশ থেকে ২.৪৫ শতাংশ করেছে।
আমানত হ্রাস এক ধরনের পদক্ষেপ যার ফলে ভোক্তারা তাদের টাকা ব্যাংকে না জমিয়ে খরচ কিংবা বিনিয়োগ করেন। গত বছর কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীন সরকার আশা করেছিল নাগরিকেরা তাদের খরচের পরিমাণ বাড়াবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা হয় নি।
ফাইন্যান্স ফার্ম ম্যাককুয়ারি গ্রুপের প্রধান চীনা অর্থনীতিবিদ ল্যারি হু বলেছেন যে পিপলস ব্যাংক অফ চায়না ঋণের হার কমাতে পারে বা আগামী মাসে অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে পারে।
চীন সরকার জানিয়েছে ২০২৩ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে চীনের অর্থনৈতিক দুর্বলতা এখনও রয়ে গেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের অর্থনীতি ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মোট দেশীয় পণ্যের পরিসংখ্যান আগামী মাসে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দেশে যুব বেকারত্বের হার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। রিয়েল এস্টেট বাজার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মূলত কোভিড-১৯-পরবর্তী চাহিদা বছরের প্রথম দিকে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছিল। তবে এখন এ গতি আবার ধীর হয়ে পড়ছে।
অনেক অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষক আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পলিটব্যুরোর বৈঠকের পর যেকোনো ব্যবস্থা ঘোষণা করার আশা করছেন।
পলিটব্যুরো হল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা
আই. কে. জে
খবরটি শেয়ার করুন