ছবি: সংগৃহীত
ডিম আমদানির পর থেকে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি মেলে। পরে সে অনুমোদন বাড়িয়ে ১০ কোটি পিস করা হয়। এরপর গত ৯ দিনে দুই দফায় পাইকারিতে কিছুটা কমে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম।
এর আগে সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতি পিস ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অর্থাৎ খুচরায় প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা হওয়ার কথা। সেখানে অধিকাংশ দোকানে বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা বেশি। যদিও কোনো বাজারের দোকানে এখন ৪৮ টাকায় ডিম মিলছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারিতে ১০০ পিস বাদামি রঙের ডিম কিনেছেন এক হাজার ১৩০ থেকে এক হাজার ১৪০ টাকায়, গতকাল যা ছিল এক হাজার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এতে তাদের প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪০ পয়সা পর্যন্ত।
এদিকে এলাকার বাজারের অধিকাংশ দোকানীরা এসব ডিম বিক্রি করছেন প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা দরে। অর্থাৎ ১২ টাকা ৮ পয়সায়। তবে হালি নিলে নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা দর। প্রতিটি সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) হিসাবেও ওঠে এসেছে ডিমের দাম কমার বিষয়টি। সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা হালিতে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় দুই টাকা কম।