সংগৃহীত
আয়কর বিল-২০২৩ পাসে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিচ্ছেন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, তড়িঘড়ি করে রাজস্ব-সংশ্লিষ্ট আইন পাস হলে তা কার্যকর করা কঠিন হবে। ভ্যাট আইন-২০১২’র প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেয়ার কথাও বলছেন তারা।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়েছে আয়কর বিল-২০২৩। এটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মাত্র ৭ দিন সময় দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। ধারণা করা হচ্ছে, এ অধিবেশনেই বিলটি পাস হতে পারে। কার্যকর হতে পারে নতুন অর্থবছরেই।
বিলটির কয়েকটি ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। বলছেন, সামগ্রিকভাবে আয়করে শৃংখলা আনতে নতুন আইনের প্রয়োজন আছে, তবে খসড়া প্রণয়নে যথাসম্ভব সব পক্ষের মতামত থাকা ভালো।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “সর্বশেষ ১৯৮৩ সালের এই বিলটি যদি আপডেট করা প্রয়োজন। দুনিয়া অনেক পাল্টে গেছে। মনে হয়, নতুন করে আয়কর বিলে জনগণের যতটুকু দরকার সেইভাবে উত্থাপন করলেই দেশ এগিয়ে যাবে।”
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, “এটা সংসদে এবং জনমত যাচাই বা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এটা তাড়াহুড়ো করে পাস করলে ফাঁকফোকর থেকে যেতে পারে। কারণ এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো ঠিকঠাক মতো দেখা দরকার। সবকিছু দেখেই করা উচিত।”
আরো পড়ুন: অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৪ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “দুই-চার দিন আলাপ করে রেজার্ল্ট নাও পেতে পারে। যেগুলোতে সম্পূর্ণভাবে ক্লিয়ার না হয় সরকার, সেগুলো বিলে না রাখাই ভালো। হয়তো পরবর্তী বছরে রাখা যাবে।”
ধর্মীয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকা ব্যক্তিকে ভ্রমণের সময় সার্বিক সম্পদের বিবরণ দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বিলের খসড়ায়। এসব কারণে প্রশাসনিক জটিলতা ও হয়রানির সুযোগ তৈরি হতে পারে বলছেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।
এসি/আইকেজে