যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস গত বুধবার ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সমস্ত ঋণের সীমা স্থগিত করার জন্য একটি বিল পাস করার লক্ষ্যে ভোট প্রদান করেছে। মূলত বিপর্যয়মূলক ঋণ খেলাপি ঠেকাতেই আইন প্রণেতাদের এই উদ্যোগ।
বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের স্বাক্ষর প্রয়োজন। তবে বাইডেনের কাছে পাঠানোর আগে বিলটি সিনেটে পাস করতে হবে। সিনেটে, যেকোনো একজন আইনপ্রণেতা দ্রুত ভোট বিলম্বিত করতে পারেন এবং চূড়ান্ত ভোট কখন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কংগ্রেসের মাধ্যমে বিল পাস করার সময়সীমা অত্যন্ত কঠোর এবং এখানে ত্রুটির কোন জায়গা নেই। আর তাই উভয় দলের নেতাদের উপরেই প্রচুর চাপের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঋণ সীমা বিলটি প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিদলীয় সমর্থন নিয়ে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে হাউসে পাস হয়।
১৪৯ জন রিপাবলিকান এবং ১৬৫ জন ডেমোক্র্যাট বিলটির পক্ষে ভোট দেন। অপরদিকে ৭১ জন রিপাবলিকান এবং ৪৬ জন ডেমোক্র্যাট বিলটির বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন।
ঋণের সীমা মোকাবেলা করার পাশাপাশি, বিলটি অ-প্রতিরক্ষা ব্যয়কেও সীমাবদ্ধ করে।
অনেক তর্ক-বিতর্কের পর হোয়াইট হাউস এবং হাউস রিপাবলিকানদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ঋণের সীমা চুক্তিটি সপ্তাহান্তে ঘোষণা করা হয়। এমন একটি ঋণ সীমা চুক্তি সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টা হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এবং বাইডেন উভয়ের জন্যেই দারুণ চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার।
বিলটি পাসের পর হাউস ভোটের প্রশংসা করে বাইডেন বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো দ্বিদলীয় সমঝোতা, যা উভয় পক্ষের সমর্থন অর্জন করতে পারে। এই বিলটি পাস দ্বিদলীয় সমঝোতার মাধ্যমেই সক্ষম হয়েছে। তিনি সিনেটকে এ বিল অতিদ্রুত পাস করার জন্য আহ্বান জানান। তার মতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ বিলটি প্রয়োজনীয়।
হাউস বিলটি পাস করার পর ম্যাকার্থি বিজয়ের হাসি হেসে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এক নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে।
স্পিকার ম্যাকার্থি এবং তার শীর্ষ সহযোগীরা ভোটের আগেই আস্থা প্রকাশ করেছিলেন যে বিলটি হাউসে পাস হবে। এর আগে এই বিল সম্পর্কিত সকল সমালোচনা দূর করার জন্য কাজ করেন তারা।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস মঙ্গলবার রাতে ম্যাকার্থিকে একটি চিঠিতে বলেছে যে এই বিলটি আগামী দশ বছরে বাজেট ঘাটতি ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমিয়ে দেবে।
আই.কে.জে/