শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

ঘূর্ণিঝড় মোখা

কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে লাখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে এরই মধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৩ জন এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ। 

তিনি বলেন, “এরই মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। যাদের সঙ্গে এসেছে গবাদি পশুও। স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। রাতের মধ্যেই আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা দুই লাখে পৌঁছে যাবে।” 

বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, এরই মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় সব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্বীপের ৪ হাজার ৩০৩ জন বাসিন্দা মোট ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।  এসব মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জরুরি মেডিকেল টিম তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দিচ্ছে। 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মূল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না, তাদের বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।” 

এদিকে, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। 

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল থাকছে।

আইকেজে /

Important Urgent

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন