রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা *** তিন দশকের রাজনীতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই শক্তিশালী নারী: মাহফুজ আনাম *** সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন *** তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার *** যাত্রীর লাগেজটি নড়ছিল, খুলতেই ভেতরে ২ বছরের শিশু *** তারেক রহমান আসবেন, আমাদের নেতৃত্ব দেবেন, পথ দেখাবেন: মির্জা ফখরুল *** ১৮ তলা থেকে পড়ে বেঁচে গেল তিন বছরের শিশু *** ট্রাম্পের হুমকিতেও রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত *** নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

কিভাবে সন্তানকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ২২শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যেকের জীবন সবসময় একরকম থাকে না। জীবনে কখনও খারাপ, কখনও ভালো সময় আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে খারাপ সময়টাকে বা জীবনে পরাজয়টাকে মেনে নিতে পারে না। কেউ কেউ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। অথচ একজন মানুষ শৈশব থেকেই মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকলে তার ভবিষ্যৎ জীবন তার জন্য একটু সহজ হয়ে যায়। এ কারণে শৈশব থেকে শিশুদের আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী করে গড়ে তোলা দরকার। আর এ ভূমিকা নিতে হবে বাবা-মাকেই। তাহলে জীবনে যত খারাপ সময়ই আসুক না কেন সেসব চ্যালেঞ্জ নিতে মানসিকভাবে সে প্রস্তুত থাকবে। 

আপনিও যদি আপনার সন্তানদের জীবনে দুর্বল হতে দিতে না চান, তাহলে তাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে কিছু টিপস জেনে রাখুন। যেমন-

১. বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ অভিভাবক মনে করেন শিশুদের চ্যালেঞ্জ এবং অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না, তবে এটি সত্য নয়। শিশুরাও নেতিবাচক চিন্তা করে। এটি শিশুর আচরণ এবং কর্মকে প্রভাবিত করে। বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে নেতিবাচক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে উৎসাহ দেওয়া। তাদেরকে প্রতিটি পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকা শেখাতে হবে। শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে, বাস্তবে বাঁচতে শেখান।

২. মানুষ মাত্রই ভুল করে এবং তা থেকে শেখে। শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয়। আপনি আপনার সন্তানকে ভুল করার জন্য বকাঝকা করবেন না, বরং তার মধ্যে ভুল থেকে শেখার অনুভূতি এবং প্রবণতা জাগ্রত করুন। শিশুকে অবশ্যই জানতে হবে যে ভুল করা ঠিক আছে।

আরো পড়ুন : অন্যের কল্যাণ সাধনের মধ্য দিয়ে সুস্থ ও সুখী জীবন

৩. শিশু যা দেখে তাই করে, এ কারণে আপনি যা শেখান তা বাস্তবায়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ। তবেই আপনি শিশুদের জন্য একজন ভালো আদর্শ হয়ে উঠতে পারবেন।

৪. শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখতে হবে। অভিভাবকদেরও শিশুদের আবেগ বোঝা উচিত। আবেগ শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে। বাবা-মা একবার এই বিষয়গুলো বুঝলে, তারা তাদের সন্তানদের এই বিষয়গুলো সামলাতে সক্ষম করে তুলতে পারবেন। শিশুরা কখনোই মানসিকভাবে দুর্বল বোধ করবে না।

৫. শিশুকে সাহায্য করার জন্য সব সময় আপনার পাশে দাঁড়ানো উচিত নয় বরং তাকে নিজের সমস্যা সমাধান করতে শেখানো উচিত। ধীরে ধীরে, শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে বুঝতে শুরু করবে কীভাবে কী করতে হবে এবং এইভাবে সে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশ শুরু করবে।

এস/ আই. কে. জে/

সন্তান মানসিকভাবে শক্তিশালী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন