ছবি: সংগৃহীত
প্রায় ১৫০ জন তিব্বতি টরোন্টোর কানাডিয়ান কালচারাল সেন্টারে ১৯৯৫ সালে অপহৃত ১১তম পঞ্চেন লামার ৩৪তম জন্মদিন উদযাপন করতে জড়ো হন। একইসাথে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন কানাডার হাউস অব কমন্সের সদস্য জেমস মেলোনি, প্রাদেশিক সংসদ সদস্য ভুটিলা কার্পোচে এবং সিটি কাউন্সিলর।
তারাও পঞ্চেন লামার মুক্তির ব্যাপারে সমর্থন প্রদান করেন। জেমস মেলোনি ছয় বছরের শিশুকে অপহরণের ঘটনাটিকে অকল্পনীয় বলে আখ্যা প্রদান করেন।
দালাই লামার প্রতিও সমর্থন প্রকাশ করেন মেলোনি। তিনি দালাই লামার শান্তিবার্তার গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করে জানান যে দালাই লামার উপর আক্রমণের অর্থ হলো সমগ্র তিব্বতের জনগণের উপর আক্রমণ।
পঞ্চেন লামার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
পঞ্চেন লামাকে তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অপহরণের পর তিনি কোথায় আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না সে বিষয়েও কোন তথ্য প্রকাশ করেনি চীন।
১৯৯৫ সালের ১৪ মে, গেদুন চোয়েকি নাইমাকে ১৪তম দালাই লামা একাদশ পঞ্চেন লামা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। এর তিনদিন পরেই পঞ্চেন লামাকে অপহরণ করা হয় এবং আজ পর্যন্ত তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এখানেই চীনাদের নিষ্ঠুরতা থেমে থাকে নি। তারা নিজের মনের মতো করে অন্য আরেকজনকে পঞ্চেন লামা হিসেবে নিযুক্ত করে এবং তিব্বতিদেরকে তাদের মনোনীত পঞ্চেন লামাকে মেনে নিতে বাধ্য করে।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
আরো পড়ুন:
খবরটি শেয়ার করুন