এক বছরের চরম উত্তেজনার পরে চীনের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার মধ্যেই সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস গোপনে গত মাসে চীন সফরে যান।
মার্কিন কর্মকর্তার মতে, বার্নস চীনা নেতাদের সাথে দেখা করেছেন এবং দুইদেশের মধ্যকার যোগাযোগ রক্ষার গুরুত্বের উপর কথা বলেছেন।
তবে অপর একজন কর্মকর্তা জানান এই সফর কোন কূটনৈতিক মিশন ছিল না, বরং তিনি সেখানে গোয়েন্দা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যান। তবে ঠিক কোন গোয়েন্দা বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বার্নসসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বেশ কিছু মাস ধরেই চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে চীন ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা করছে, যদিও চীন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করে নি।
মার্কিন নেতারা তাইওয়ান দখলের চীনের সমস্ত কৌশল সম্পর্কেও অবগত রয়েছেন।
শুক্রবার, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং তার চীনা প্রতিপক্ষ লি শাংফু সিঙ্গাপুরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে দেখা করেন। তবে তাদের মধ্যে কোন আলোচনা হয় নি। চীনকে আলোচনায় বসতে বারবার অনুরোধ জানানো হলেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।
চলতি সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যোগাযোগের এ অবনতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি হলো তারা চীনের সাথে যোগাযোগ জোরদার করতে চাইছে, কিন্তু চীন সেটা চাইছে না।
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার অ্যাড. জন অ্যাকুইলিনো এপ্রিল মাসে আইন প্রণেতাদের জানান যে চীনা কর্মকর্তারা পিপলস লিবারেশন আর্মির পূর্ব এবং দক্ষিণ থিয়েটার কমান্ডারদের সাথে দেখা করার আমন্ত্রণ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছেন। তার মতে চলমান এ যোগাযোগহীনতা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য চীনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভিয়েনায় চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়াং ইয়ের সাথে দেখা করেন।
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, এই বৈঠকটি গুপ্তচর বেলুনের ঘটনার পর যোগাযোগকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ছিল।
মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই দুজনেই গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন।