মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন তার চীন সফরের সময় জিনজিয়াং, তিব্বত এবং হংকংয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে একটি মুক্ত এবং নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেও জানান ব্লিঙ্কেন।
দুই দিনের চীন সফরে ব্লিঙ্কেন রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, সিসিপি কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ওয়াং ই এবং স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এর সাথে দেখা করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুত্ব প্রদান করে এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে দুইদেশের মধ্যে খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
তাছাড়া পূর্ববর্তী রাসায়নিকের বৈশ্বিক প্রবাহ রুখতে ও যুক্তরাষ্ট্রে সিন্থেটিক ওষুধের ব্যবহার থামাতে দুইদেশেরই একত্রে কাজ করা উচিত বলে জানান তিনি।
পিআরসি এর অনৈতিক অর্থনৈতিক অনুশীলন এবং মার্কিন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে তাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিষয়েও কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। তাছাড়া জিনজিয়াং, তিব্বত এবং হংকং এ পিআরসি এর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াবে।
তাছাড়া তাইওয়ান প্রণালীর উপর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজার রাখার উপর জোর প্রদান করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন যে, দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকনির্দেশনার জন্য নীতির উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে, যেমনটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বালিতে এর আগে বলেছিলেন।
তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য চলমান প্রচেষ্টাকেও স্বাগত জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং পিআরসি-এর মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব উল্লেখ করে, উভয় পক্ষই বলেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা এখন নাগরিকদের শক্তিশালী করার জন্য অপরিহার্য।
তাছাড়া উভয় পক্ষই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কিউবায় পিআরসি এর কার্যকলাপ ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য এবং মাদক প্রতিরোধের মতো যৌথ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের একসাথে কাজ করা উচিত।
এ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কিনকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানান ব্লিঙ্কেন।