জি-২০ এর সদস্য দেশগুলোর পর্যটন মন্ত্রীরা গত বুধবার ভারতের গোয়ায় মিলিত হন। সেখানে তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য ও পর্যটনের জন্য গোয়া রোডম্যাপকে স্বাগত জানান।
মন্ত্রীরা কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব থেকে পর্যটনের সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের দিকে কাজ করার এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য জাতিসংঘের ২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে পর্যটনের ভূমিকাকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।তাছাড়া জি-২০ এর মূল লক্ষ্য পূরণেও পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়। বেশিরভাগ মন্ত্রীদের মতেই এ যুদ্ধ মানবিক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বেশিরভাগ সদস্যই এর তীব্র নিন্দা করেন এবং বলেন এ যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান ভঙ্গুরতাকে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইন ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা অপরিহার্য কারণ এটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করে। জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতিরক্ষা এবং সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং অবকাঠামো সহ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা এর অন্তর্ভুক্ত। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি অগ্রহণযোগ্য। সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সংকট মোকাবেলার প্রচেষ্টা, সেইসাথে কূটনীতি এবং সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুগ যুদ্ধের হওয়া উচিত নয়।
মন্ত্রীরা পর্যটন নীতির মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তাছাড়া তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি বাহন হিসেবে পর্যটনের জন্য গোয়া রোডম্যাপকে স্বাগত জানান।
আই. কে. জে/