রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে সমুদ্রের জলে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:২৮ অপরাহ্ন, ২১শে জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমুদ্রজলে নির্মিত এই রানওয়েটি হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। রানওয়ে পরিষেবা চালু হলে, বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।

ইতোমধ্যে বেবিচক প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ বিমানবন্দরটিকে একটি আঞ্চলিক বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে বিশদ নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চীনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিইসিসি) সঙ্গে চুক্তি করে। এই কোম্পানি চীনের আরেক প্রকৌশল কোম্পানি চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরোকে (সিওয়াইডব্লিউসিবি) সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করছে। এর আগে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল ৯ হাজার ফুট।

গত ১৪ জুলাই সিসিইসিসির সাইট ম্যানেজার লি গুয়াংকি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা। চলতি বছরের মধ্যে আমরা রানওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আশা করছি।'

আমরা নির্ধারত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত ৭৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।' বাকি কাজ আগামী বছরের ১০ মে শেষ হবে বলে জানান তিনি।

১৯৫৬ সালে একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার বিমানবন্দর। ৪টি এয়ারলাইন্স এখন এ বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে; যেটি কক্সবাজার শহর থেকে দেড় কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে ৩৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

প্রথম পর্যায়ে রানওয়েটি ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুট এবং ১২০ ফুট থেকে ২০০ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে সরকার ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। যার লক্ষ্য ছিল বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নির্ঝঞ্ঝাট ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া।

আই. কে. জে/ 

রানওয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250