বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপমাত্রা আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই, বলছে আবহাওয়া অফিস

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৩ অপরাহ্ন, ৭ই জুন ২০২৩

#

সংগৃহীত

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তবে তাপমাত্রা বাড়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই; বরং শিগগিরই কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (৭ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এ কে এম নজমুল হক।

একদিকে অসহনীয় গরম, তার ওপর লোডশেডিং। দিনের পাশাপাশি রাতেও নাজেহাল মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের টান পড়েছে রোজগারে।

নাখালপাড়ায় একটি কারখানার কর্মচারী মজনু মিয়া বলেন, গরমে হিটস্ট্রোক করার মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ থাকে না, রাতে গরমে ঘুমাতে পারি না। দিনে একদিকে গরম, অন্যদিকে রাতে ঘুমাতে না পারার কারণে দিনের বেলায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। একটু বৃষ্টি হলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি মিলত।

এর মধ্যে স্বস্তির একটা বার্তা দিলেন আবহাওয়াবিদ এ কে এম নজমুল হক। তিনি জানান, তাপমাত্রা বাড়ার আর কোনো আশঙ্কা নেই। বরং চট্টগ্রাম বিভাগে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 এ কে এম নজমুল হক আরও জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। বিশেষ করে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলায়ও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

 দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিষয়ে এ আবহাওয়াবিদ জানান, গত কয়েক দিন ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ক্রমাগত ছিল। মঙ্গলবারও ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে ২০১২ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

 তিনি আরও বলেন, একদিকে তাপমাত্রা অনেক বেশি, অন্যদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে। আর শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার কারণে সবার ভেতরে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এটাই হচ্ছে মূল বিষয়। তাই গরমের অনুভূতিটা বেশি।  

 আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত শুরু হলে যা করণীয়

 এদিকে, আবহাওয়া অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চমবঙ্গ এবং তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী দুদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। আর মৌসুমি বায়ু শুরু হলে বৃষ্টিপাত শুরু হবে।

 এছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এসি/আইকেজে 

তাপমাত্রা অফিস

খবরটি শেয়ার করুন