শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঁচাত্তরের পর এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৬ অপরাহ্ন, ৯ই জানুয়ারী ২০২৪

#

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবারের নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক। দেশে ৭৫-এর পর নির্বাচনের নামে ভোট চুরি হতো।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় মঙ্গলবার (৯ই জানুয়ারি) দুপুরে গণভবনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ অংশ নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ভোট বন্দি ছিল ক্যান্টনমেন্টে, সেখান থেকে জনগণের হাতে এনে দিয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দলের থাকা না থাকায় গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না। যারা নির্বাচন নিয়ে খেলতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে আসেনি তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভোগে। এবারের নির্বাচনে তারা আর বলতে পারবে না, যেটা তারা বলেই বেড়াতো, যে রাতে সিল মারবে… এবার বলার সুযোগ নেই। জনগণ বিএনপির ভয়াল রুপ দেখে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, যেমনভাবে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তেমনি খালেদা ও তারেক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। লন্ডন থেকে এদেশের মানুষ পোড়ানোর হুকুম দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: জয়ের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

তিনি বলেন, চাইলে স্বতন্ত্ররা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা নির্বাচন করেছে, কারো বিরুদ্ধে যেন কোন ক্ষোভ না থাকে। যেহেতু জনগণ ভোট দিয়েছে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কোন ধরনের গোলমাল করলে সেই সুযোগ ষড়যন্ত্রকারীরা নেবে। তাই কোন ধরনের সংঘাত দেখতে চাই না।

নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত কঠোরভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা করে তারা নির্বাচন করেছেন। সুশৃঙ্খল নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এ ধরনের চমৎকার নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, আমি জানি তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছেন। তাদের বলব, হতাশার কিছু নেই, আপনার তো এই দেশেরই জনগণ। হয়ত আপনাদের ওপর ওহি নাজিল হয়েছে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, ডিজিটালের সুবাদেই ওহি নাজিল হয়। নিজে লন্ডনে বসে আয়েশ করেন, পায়েস খান আর এখানে কর্মীদের মাঠে নামায়। মাঠে নামায় আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াতে।

বাংলাদেশের মানুষ কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ৯৬ সালে খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল, শত চেষ্টা করেও ভোটার আনতে পারেনি। তারপর সিল মেরে, বাক্স ভরে যা কিছু করেছিল, সব জায়গায় আর্মি নামিয়েছিল, পুলিশ নামিয়েছিল, সব নামিয়েছিল। তারপরও সেই নির্বাচন হয়নি এবং জনগণ মেনে নেয়নি। ১৫ই ফেব্রুয়ারি (১১৯৬) নির্বাচন হয়েছিল, ৩০শে মার্চ খালেদা জিয়া ভোটচুরির অপরাধ নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। নিশ্চয়ই এ কথা জনগণ ভুলে যায়নি। ২০০৬ সালের নির্বাচনেও এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিল। সেই নির্বাচনেও ভোট চুরির অপরাধে টিকতে পারেনি। ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়, খালেদা জিয়াও যায়, তার নির্বাচনও যায়। এদের তাও শিক্ষা হয় না, লজ্জা হয় না।

এসকে/ 


নির্বাচন শেখ হাসিনা

খবরটি শেয়ার করুন