ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার কিছু সময় আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এর আগে তিনি সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে টিকিট কেটে মাওয়া থেকে ট্রেনে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন ৩৮৬ অতিথি। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাওয়ায় পৌঁছান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পুরো রেলপথটি চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রেল যোগাযোগ সহজ হবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত তিনটি অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেন্ডারিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
মোট ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)।
ওআ/