সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের ৫ গির্জায় ভাঙচুর, শতাধিক আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:০২ পূর্বাহ্ন, ১৭ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অন্তত ৫টি গির্জায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত ১০০ জনেরও বেশি লোককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এবং বার্তা সংস্থা এফএফপি এর প্রতিবেদন হতে এ তথ্য জানা যায়। 

বুধবার (১৬ আগস্ট) ফয়সালাবাদের জারানওয়ালা এলাকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে অন্তত ৫টি গির্জায় তান্ডব চালানো হয়। 

পুলিশ জানায়, কোরআন অসম্মানের অভিযোগে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর এ হামলা চালানো হয়। যে দু'জনের বিরুদ্ধে কোরআনকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা আকমল ভাট্টি জানিয়েছেন, একদল লোক অন্তত ৫টি গির্জায় আগুন দিয়েছেন। আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার পর লুটপাট চালানো হয়েছে।

তার অভিযোগ, মসজিদের মাইক থেকে এক ধর্মীয় নেতা সহিংসতায় উসকানি দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গির্জার ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সেখান থেকে বের করে আনা আসবাবপত্রেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় বেশ কিছু লোক পার্শ্ববর্তী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

জারানওয়ালার পাদরি ইমরান ভাট্টি বলেন, ইসা নগরী এলাকার ৪টিসহ মোট ৫টি গির্জায় তাণ্ডব চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সহিংস লোকজন।

পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনোয়ার বলেন, বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় সরু গলিতে ছোট ২-৩টি গির্জা রয়েছে। সেখানে একটি প্রধান গির্জাও অবস্থিত। বিক্ষোভকারীরা এসব গির্জার কিছু অংশ ভাঙচুর করেছেন।

তবে ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ ছিল অভিযোগ করছে খ্রিষ্টধর্মীয় নেতারা।

এম.এস.এইচ/

পাকিস্তান ধর্ম অবমাননা

খবরটি শেয়ার করুন