কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্সে এবার রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
শনিবার ৪ মাস পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ টাকা গণনা করা হয় বলে জানান কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
গত ৭ জানুয়ারি দানবাক্সে পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবারের পরিমাণ সর্ব্বোচ্চ বলে জানায় পাগলা মসজিদের পরিচালনা কমিটি।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এর আগে, সর্বশেষ ২০২২ সালের ১ অক্টোবর ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হলে তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
মানুষের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয় বলে জানান মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান।
এলাকাবাসী বলেন, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দান করে থাকেন।
আরো পড়ুন:রাজধানীর আফতাবনগরে পাসপোর্ট অফিস উদ্বোধন আজ
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এম/