ছবি-সংগৃহীত
সম্পর্কে চাচাতো ও ফুফাতো তিন ভাই একসঙ্গে থাকেন সৌদি আরবে। দীর্ঘদিন পর বাড়িতে আসার পরিকল্পনা করেন তারা। তাই সিদ্ধান্ত নেন হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরার। সৌদি থেকে মঙ্গলবার তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
তারা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়িয়ালা গ্রামের রস্তম আলীর ছেলে সাব্বির, ভদু বিশ্বাসের ছেলে সারোয়ার ও আব্দুল গফুরের ছেলে হারুন।
বুধবার (১৩ই ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিন ভাইকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গড়িয়ালা গ্রামের মাঠে অবতরণ করে। এ সময় প্রবাসী তিনজনের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। হেলিকপ্টারে তাদের অবতরণ দেখতে মাঠে শত শত মানুষ ভিড় জমান। এ সময় প্রবাসী তিন ভাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, জীবনে কখনো এত কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখেননি তারা। দীর্ঘদিন পর তিন ভাই হেলিকপ্টারে এলাকায় আসায় এক নজর দেখতে এসেছেন। এলাকায় উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। এটা এক অন্যরকম অনুভূতি।
সৌদি প্রবাসী সাব্বির হোসেন জানান, তারা তিন ভাই সৌদি প্রবাসী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন অনেক প্রবাসী হেলিকপ্টারে এলাকায় যান। এজন্য তারাও সিদ্ধান্ত নেন হেলিকপ্টারে বাড়িতে যাবেন। এর আগে এলাকায় কেউ হেলিকপ্টারে কেউ বাড়ি ফেরেনি। অনেকটা গ্রামের মানুষের ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসা।
আরেক প্রবাসী সারোয়ার হোসেন বলেন, ২৪ বছর ধরে সৌদি আরবে আছি। এর মধ্যে অনেকবার বাড়িতে আসা হয়েছে, তবে এবার ভিন্নভাবে। হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসায় এলাকায় উৎসব শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশে বর্তমানে যানজট একটি সমস্যা। এজন্য ঝামেলা এড়িয়ে যাতে দ্রুত বাড়িতে আসা যায় এজন্য হেলিকপ্টারে বাড়িতে এসেছি।
আরো পড়ুন: ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই কমে যায় পেঁয়াজের দাম!
এ বিষয়ে ৪নং গড়িয়ালা ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু হানিফ জানান, তিন ভাই দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে সৌদি আরব থাকেন। তারা গ্রামের অসহায় মানুষের বিপদাপদেও সহযোগিতা করেন। তারা আসায় গ্রামের মানুষ খুবই খুশি। তিন ভাই একসঙ্গে হেলিকপ্টারে করে আজ বাড়িতে এসেছেন। গ্রামের মানুষ তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। এলাকাবাসী এর আগে কখনো গ্রামের মাঠে হেলিকপ্টার নামতে দেখেনি।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম বলেন, তিন ভাই একসঙ্গে ছুটি কাটাতে দেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা একদমই ভিন্ন। কেননা এর আগে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ সরাসরি গ্রামে হেলিকপ্টার আসতে দেখেননি। তাই গ্রামের সবাই অনেক আনন্দিত। এ ছাড়া তিন ভাই প্রবাসে থাকায় এলাকার অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে থাকেন।
এসি/ আই.কে.জে/