প্রিয় জয়া,
পত্রের প্রথমেই আমার শুভেচ্ছা নিও। মাসি, মেসোকে আমার প্রণাম এবং তোমার ভাই জিতুকে স্নেহাশিস দিও। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় ভালো আছো।
তুমি জানো, করোনা ভাইরাসের প্রভাব আর নেই। কিন্তু করোনার সময়টা কীভাবে কাটিয়েছি সে সম্পর্কে আজ আমি তোমায় লিখছি। আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর কিছুদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করেছি। তারপর করোনার উপস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস করেছি এবং পরীক্ষা দিয়েছি। আমার শ্রেণীশিক্ষক ম্যাডাম পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে অনলাইনে ফলাফল দিয়েছেন।
কী ভয়ঙ্কর সময় পার করেছি! বাসার বাইরে যাওয়া যেতো না। গৃহবন্দীর মতো থাকতাম। আমি আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খেলেছি। বাসায় মাঝে মাঝে ক্যারাম, লুডু, বল খেলেছি। বাসায় একটানা বসে থাকতে থাকতে বোরিং লাগতো। তাই বাবা প্রায়ই মাস্ক পরা অবস্থায় আমাকে ও ভাইকে বাসার কাছাকাছি বাইরে নিয়ে যেতো।
করোনাকালীন আমি বাসায় পড়ালেখা করেছি। এছাড়া ছবি এঁকেছি, গান অনুশীলন করেছি। টেলিভিশনে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান দেখেছি। এভাবেই আমি করোনার সময়টা কাটিয়েছি। আজ এখানেই শেষ করছি। আমরা সবাই ভালো আছি। তোমরা সবাই সর্বদা ভালো থেকো।
——ইতি
তোমারই বান্ধবী
পুষ্পিতা
ঠিকানা: মোহাম্মদপুর, ঢাকা
আরো পড়ুন : মাইশা, তুই মেয়েটা অনেক গুণবতী, তোকে মিস করবো
এস/ আই. কে. জে/