শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ঘটনাগুলোর আরো গবেষণা প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৮ অপরাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৩

#

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নেপথ্যের ঘটনাগুলো আরো গবেষণা করে বের করা প্রয়োজন।’ তিনি আরো বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে কোন কোন দেশের কূটনীতিকরা ঢাকায় আনাগোনা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে কারা, কোন কোন দেশের লোকেরা কী বলেছেন সেগুলোও গবেষণা করে দেখা উচিত।’  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে দেশে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। বাসন্তীর কাহিনী প্রচার করা হয়েছিল। তখন বহু লোক দেশে আনাগোনা শুরু করে এবং একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আজকের বাংলাদেশেও সেরকম একটা অস্থিরতা সৃষ্টির প্রয়াস চলছে। ঐ সময়ের সাথে একটা সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভাবনীয় অগ্রগতির পরেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে আমরা যে ধরনের অস্থিরতা দেখেছিলাম, মনে হয় এখনো সেই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছে। সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ৭৫' এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি চেতনা, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, একটি জাতিস্বত্তা সৃষ্টি করে গেছেন। শুধু একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র তৈরি করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা সদ্য স্বাধীন দেশকে শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা প্রয়োজন জাতির পিতা হিসাবে তিনি সেই সব কাজ করে গেছেন।’ 

ড. মোমেন বলেন, ‘যতগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, এই অল্প দিনে সবগুলোর সদস্য পদ বাংলাদেশ অর্জন করেছিল। এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও বাংলাদেশ অর্জন করতে সক্ষম হয়।’

ড. মোমেন আরো বলেন, ‘পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে যারা এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতোগুলো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। শুধু স্বীকৃতি অর্জন নয়, মাত্র দু’মাসের মাথায় বন্ধুপ্রতিম ভারতের সৈন্যদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। খুব কম দেশেই এধরণের নিদর্শন আছে। এই জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটি সুন্দর, শক্তিশালী সংবিধান দিয়ে গেছেন। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এতো অল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নের নজির আছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে- শিক্ষা ক্ষেত্রে, শিল্প ক্ষেত্রে, কৃষি ক্ষেত্রে, সর্বক্ষেত্রেবঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা তৈরি করে গেছেন আজ শেখ হাসিনা সেই পথ ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন ফলে দেশের উন্নয়ন এতো ত্বরান্বিত হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে যান নাই, তিনি আমাদের হৃদয়ে একটি স্বপ্ন দিয়ে গেছেন, আর সেই স্বপ্ন হলো সোনার বাংলার স্বপ্ন। একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে। তার সেই স্বপ্ন অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসকে/ 

আওয়ামী লীগ পররাষ্ট্রমন্ত্রীা

খবরটি শেয়ার করুন