বৃহস্পতিবার, ৩রা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** স্বামীকে ইউক্রেনীয় নারীদের ধর্ষণে উৎসাহ, রুশ নারীর কারাদণ্ড *** ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে নিরাপত্তার শঙ্কা *** ড. ইউনূসের 'সেভেন সিস্টার্স' নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ *** 'সেভেন সিস্টার্স' নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যে 'ঝড়' থামছে না ভারতে *** বিমসটেক সম্মেলনে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে *** 'সংখ্যালঘু সদস্য হিসেবে এখন কতটা নিরাপদ' প্রশ্নে যা বললেন দেবপ্রিয় *** ছেলে তারেকের পরিবারের সঙ্গে লন্ডনের পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছেন খালেদা জিয়া *** ভারতের বদলে প্রধান উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর চীনে কেন, ব্যাখ্যা দিলেন ড. দেবপ্রিয় *** মরণোত্তর অঙ্গদানে নিবন্ধন করেছেন ৭০ লাখের বেশি চীনা *** ইউনূস-মোদির বৈঠক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে

বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, ৮ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের আজকের এই ‍দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই মহীয়সী নারী। তাঁর ডাক নাম ছিল রেণু। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাসের উৎস। 

তিনি পাশে ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন। এক কথায় বলতে গেলে বঙ্গমাতাকে পাশে পেয়েই বঙ্গবন্ধু পূর্ণতা পেয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রেরণা দান করেছেন। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। তাই ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন বরং তিনি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সারাজীবন সাদাসিধে ভাবে চলেছেন। তিনি সবসময় নিজের চেয়ে পরিবারের কথা ভেবেছেন বেশি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনসঙ্গী হিসেবে সংগঠনের কথাও ভাবতে হয়েছে তাঁকে। 

ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান বঙ্গমাতা। যখন তাঁর বয়স মাত্র ৩ বছর তখন তাঁর বাবা শেখ জহুরুল হক এবং যখন তাঁর বয়স ৫ বছর তখন তাঁর মা হোসনে আরা বেগম পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। এরপর স্বজনদের কাছে লালিত-পালিত হন তিনি। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে পড়াশুনা করেছেন। সেখানে পড়াকালীন তাঁর দাদা শেখ কাসেম শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ফজিলাতুন্নেছার বিয়ে দেন। বিয়ের পর সামাজিক রীতিনীতির কারণে স্কুলের বদলে গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেন তিনি। 

ছোটবেলা থেকেই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন। স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নানা পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে লড়াই-সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ তৎকালীন সব সংগ্রামে তিনি গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সব কষ্ট সহ্য করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামময় জীবনে তিনি যেমন পরম মমতায় পরিবারের হাল ধরেছিলেন, তেমনি যথেষ্ট সাহসিকতার সঙ্গে সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদত বরণ করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। সেসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৪৫ বছর। বাল্যকাল থেকে যে মানুষটিকে জীবনসঙ্গী করে আমৃত্যু সাহচর্যের পণ করেছিলেন, তিনি বিদায়ও নিলেন তাঁর সঙ্গে। 

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধুর সব সাহসী পদযাত্রায় বেগম মুজিব ছিলেন সক্রিয় সহযাত্রী। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্তক্ষণে বঙ্গমাতাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সঠিক পথ বাতলে দিয়েছিলেন। সেজন্যই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে অনেকে বঙ্গবন্ধুকে অনেক রকম পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আমার মা তাকে বলেছিলেন, তোমার যা মনে আসে তাই বলো।' 

সত্যিকার অর্থে বঙ্গমাতাকে ছাড়া অপূর্ণ থাকতেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিতে পেরেছিলেন। 

এম.এস.এইচ/ আই. কে. জে/ 

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন