বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
দুই সিটির সবগুলো কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়েছে। ইভিএমে ভোট হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে, কে হচ্ছেন খুলনা ও বরিশালের পরবর্তী মেয়র।
বরিশালে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। এর মধ্যে সালল ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বরিশালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোড মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরেই ভোট দিতে আসা লাটিম মার্কার প্রার্থী মু. শাহরিয়ার সাচিব (রাজিব) এবং টিফিন বক্স মার্কার প্রার্থী শেখ সাঈদ আহমেদের (মান্না) সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্বে রয়েছে ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
অপরদিকে, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৭ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, মো. আলী হোসেন হাওলাদার ও মো. আসাদুজ্জামান।
আরো পড়ুন: বরিশালে হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার ও শাস্তির নির্দেশ