টানা চার পরাজয়ে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ টাইগাররা। টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে আজ মুখোমুখি লড়ছে নেদারল্যান্ডসের সাথে।
বিশ্বকাপে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সাকিব আল হাসানদের সামনে। বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশ যেমন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় তেমনি নেদারল্যান্ডসও চায় কমলা উৎসবে কলকাতা রাঙাতে। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ২২৯ রানে গুটিয়ে যায় এডওয়ার্ডসের দল।
৪৫তম ওভারে ৫ উইকেটে ছিল ১৮৫ রান। স্কট অ্যাডওয়ার্সের ফিফটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল নেদারল্যান্ডস। তবে সেখান থেকে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ৯ রানের মধ্যে তুলে নেয় ৩টি উইকেট।
৮ উইকেটে যখন ১৯৪, মনে হচ্ছিল দুইশর আগেই অলআউট হতে পারে নেদারল্যান্ডস। সেটা হয়নি। তারপরও ডাচদের অল্পতে আটকে দেওয়ার সুযোগ ছিল। ৪৯ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের রান ছিল ৯ উইকেটে ২১২।
কিন্তু শেষ ওভারে শেখ মেহেদি হাসান উদার হস্তে রান বেলালেন। এক ওভারেই ১৭ রান তুলে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়ে ফেললো নেদারল্যান্ডস। পুরো ৫০ ওভার খেলে ২২৯ রানে অলআউট হয়েছে ডাচরা। অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩০।
অথচ ইডেন গার্ডেনে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ডাচদের শুরুতেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামের আগুনে বোলিংয়ের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস।
৪ রানের মধ্যেই দুই ডাচ ওপেনারকে তুলে নেন এই দুই পেসার। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই বিক্রমজিত সিংয়ের (৩) উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে মিড অফে বিক্রমজিতের ক্যাচ ধরেন সাকিব আল হাসান।
পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। স্লিপে দাঁড়িয়ে ম্যাক ও’দাউদের (০) ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ডাচরা।
এরপর ওয়েসলি বেরেসি আর কলিন অ্যাকারম্যান গড়েন ৫৯ রানের জুটি। বেরেসিই ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৪১ বলে ৪১ করা এই ব্যাটারকে সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোস্তাফিজ। পরের ওভারে ধীরগতির অ্যাকারম্যানকে (৩৩ বলে ১৫) ফেরান সাকিব।
বেস ডি লিডি সেট হয়ে গিয়েছিলেন। ২৫.২ ওভারে দলীয় রান ১০০ পার করে নেদারল্যান্ডস। ডি লিডিকে (৩২ বলে ১৬) উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ডাচদের চাপে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। আম্পায়ার অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ডি লিডির গ্লাভসে হালকা স্পর্শ করে গেছে মুশফিকের হাতে। ১০৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
কিন্তু অ্যাডওয়ার্ডসকে ১৬তম ওভারে জোড়া জীবন দেওয়াই বিপদ ডেকে এনেছে। দেখেশুনে খেলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ডাচ দলপতি। ষষ্ঠ উইকেটে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটে নিয়ে ১০৫ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।
অবশেষে ৪৫তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। দুই জীবন পাওয়া অ্যাডওয়ার্ডস ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। ৮৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান আসে ডাচ অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন