সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেক দামে ডিম বিক্রি হয় ভারতে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:২১ অপরাহ্ন, ১লা অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, বাংলাদেশ চাহিদার চেয়েও বেশি ডিম উৎপাদন করে। তাহলে একটি ডিমের দাম কীভাবে ১৫ টাকা হয়। যেখানে ভারতে প্রতিটি ডিমের দাম ৬ টাকা আর চীনে প্রতিটি ডিমের দাম ৮ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশে ডিমের দামে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেক দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চীনেও ডিমের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম।

এগরেট ডট ইন এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রতি পিস ডিমের গড় দাম ছিল সাড়ে ৪ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ টাকা।

অন্যদিকে চীনে পিস হিসেবে ডিম বিক্রি হয় না। দেশটিতে ডিম বিক্রি হয় কেজি দরে। তবে এরপরও দেশটিতে ডিমের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বেইজিংয়ে প্রতি কেজি ডিম ১০ দশমিক ৯ ইউয়ানে বিক্রি হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৪ দশমিক ৭৮ টাকা। গড়ে প্রতিটি ডিম ৫০ গ্রাম হিসেব ধরলে প্রতি কেজিতে ২০টি ডিম পাওয়া যায়। সেই হিসেবে চীনে একটি ডিমের দাম পড়ে ৮ দশমিক ২৩ টাকা।

আরো পড়ুন: আবারো দাম কমলো সোনার

ভারত এবং চীন দুটি দেশেরই জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। অন্যদিকে ১৮ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে প্রতিটি ডিমের দাম সাড়ে ১২ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস। আর উৎপাদন আছে ৫ কোটির মতো। এর ফলে ডিমের দাম হুট করে বাড়ার কোনো কারণ নেই। এ ছাড়া পোলট্রি ফিডের দাম বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে একটি ডিম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।

এসি/ আই. কে. জে/ 



বাংলাদেশ ভারত ডিম

খবরটি শেয়ার করুন