ছবি : সংগৃহীত
সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে খাসির মাংসই ছিল। কুকুর-বিড়ালের মাংস ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।
তারা হলেন কনক লায়লা ও আবদুল হাকিম। তারা বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের খণ্ডকালীন কর্মকর্তা ছিলেন।
জানা গেছে, গত ২ মার্চ কনক লায়লা নামের এক নারী গুলশানের সুলতান’স ডাইন থেকে সাত প্যাকেট খাবার কেনেন। খাবার নিয়ে মহাখালী যাবার পর ফোন করে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে ডাকেন তিনি। এছাড়া এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেন, কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে ‘বিড়ালের মাংস’ দেয়া হয়েছে।
৫ মার্চ অভিযোগকারীরা একটি ভিডিও পোস্ট করেন ফেসবুকে। যেখানে দাবি করা হয়, সুলতান’স ডাইনে বিড়ালের মাংস খাওয়ানো হয়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিওটি।
এ বিষয়ে সুলতান’স ডাইনের গুলশান ব্রাঞ্চের ম্যানেজার কামাল আহমেদ তখন বলেছিলেন, ‘অভিযোগকারীরা বিষয়টি মীমাংসা করতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।’ আর প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার বিকাশ রয় বলেন, অভিযোগকারী কনক রহমান ব্যবসা বন্ধের হুমকি দেন।
সুলতান’স ডাইনের গুলশান ব্রাঞ্চের জন্য রাজধানীর কাপ্তানবাজার থেকে মাংস কেনা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে মাংস সরবরাহকারী দোকান মালিকের ছোট ভাই সময় সংবাদকে বলেন, মাংস নিয়ে করা এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ ঘটনায় মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা করেন সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ। পরে আদালত এ অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিল পিবিআই।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুলতান’স ডাইন খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানিই সরবরাহ করেছিল। কনক রহমান ও আবদুল হাকিম ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রচার চালিয়েছিলেন যে কাচ্চিতে খাসির মাংসের বদলে কুকুর-বিড়ালের মাংস খাওয়াচ্ছে সুলতান’স ডাইন।
এর আগে সুলতান’স ডাইনের খাবারের তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিল ভোক্তা অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে সেদিন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যত্যয় পাইনি। আমরা অনেক রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে অনেক আইনের ব্যত্যয় পাই। কিন্তু সেদিন আমরা কিছুই পাইনি।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন