ছবি-সংগৃহীত
দিন দিন নাকি বচ্চনদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের। বলিউডের বচ্চন পরিবারের দ্বন্দ্ব নাকি আরও বড় হচ্ছে। গত ১লা নভেম্বর নিজের ৫০তম জন্মদিন একাই কাটিয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। যদিও ননদের ছেলে অগস্ত্যের ছবি ‘দি আর্চিজ’র প্রিমিয়ারে গোটা বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাকে।
কিন্তু তার দিন কয়েকের মধ্যেই পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রায়কে নাকি সামাজিক মাধ্যম থেকে আনফলো করে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন নিজে! স্বাভাবিকভাবেই ধরা হচ্ছে তবে কি পরিবারের দরজা ঐশ্বরিয়ার জন্য বন্ধ হওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল ঐশ্বরিয়ার।
অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে প্রায় ১৬ বছরের দাম্পত্য ঐশ্বরিয়া রায়ের। এতগুলো বছরে বদলেছে বচ্চন পরিবারের সমীকরণ। যদিও বিয়ের আগে থেকেই শ্বশুর অমিতাভের সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল ঐশ্বরিয়ার।
বউমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন অমিতাভ। যদিও এখন আর ছেলের বউকে নিয়ে উচ্চবাচ্য করেন না তিনি। নেপথ্যে হয়তো ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।
আরো পড়ুন: ডিগবাজির রহস্য ফাঁস করলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান
মাসখানেক আগেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, শাশুড়ি জয়া ও ননদ শ্বেতার সঙ্গে নাকি মনোমালিন্য চরমে উঠেছে ঐশ্বরিয়ার। এমনকি, অমিতাভের জন্মদিনের ছবি থেকে নব্যা ও অগস্ত্যকে কেটে বাদ দিয়ে সামাজিক মাধ্যমের পাতায় সেই ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী।
একটা সময় ছিল যখন ঐশ্বরিয়াকে নিজের মেয়ের জায়গা দেন ‘বিগ বি’। অমিতাভ জানিয়েছিলেন, ঐশ্বরিয়া তাদের বাড়িতে শ্বেতার অভাব পূরণ করেছেন। কারণ, ১৯৯৭ সালে দিল্লির শিল্পপতি নিখিল নন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় শ্বেতা বচ্চনের। মুম্বাই ছেড়ে দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন শ্বেতা।
স্বাভাবিক ভাবে ঐশ্বরিয়া বচ্চন পরিবারে আসার পর সেই অভাব পূরণ করেন অভিনেত্রী। সেই সময় জয়া বলেন, ‘অমিতজি যখনই ঐশ্বরিয়াকে দেখেন, ওর চোখেমুখে আনন্দ বোঝা যায়। আসলে আমরা কখনও এটা মেনে নিতেই পারিনি যে শ্বেতা আর বচ্চন নেই।’
এসি/ আই.কে.জে/