সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীজহীন পেয়ারা চাষে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৩ অপরাহ্ন, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ উদ্ভাবন করেছে বিচিমুক্ত পেয়ারার জাত বারি পেয়ারা-৪। এই পেয়ারাটি দেশি পেয়ারার চেয়ে সুস্বাদু ও উচ্চফলনশীল।

হেক্টরপ্রতি এই জাতের পেয়ারার ফলন হবে ৩২ টন। বীজমুক্ত পেয়ারাটি দেখতে লম্বাটে এবং পুরোটাই খাওয়ার উপযুক্ত। অমৌসুমি ফল হিসেবে দেশের বাজারে সব সময় এ পেয়ারা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

কাপ্তাইয়ের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্র জানায়, উদ্ভাবিত ‘বারি পেয়ারা-৪’ উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর ফল। সব রকমের মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ থেকে ভারী এঁটেল মাটি, যেখানে পানি নিষ্কাশনের বিশেষ সুবিধা আছে সেখানে ভালো জন্মে।

আকার ৭ দশমিক ১৪ থেকে ১০ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার। গড় ওজন ২৮৪ গ্রাম এবং টিএসএস শতকরা ৯ দশমিক ৫ ভাগ। ফলটি ৮-১০ দিন পর্যন্ত সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী এলাকার কৃষক মো. হারুন মিয়া জানান, পাহাড়ে অনেক রকম ফলের ফলন হলেও বীজহীন পেয়ারার কথা প্রথম শুনলাম। সারা বছরই এ পেয়ারা বাজারে বিক্রি করা যাবে, বিষয়টি আমাদের আশাবাদী করছে।

রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন জানান, দেশে সারা বছরই কম বেশি পেয়ারা চাষ হলেও নতুন উদ্ভাবিত এ জাত মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এতে কোনও বীজ থাকে না। এটি পার্বত্য এলাকাসহ সারা দেশে চাষের উপযোগী।

আরো পড়ুন: চম্পা কলা চাষে আনোয়ারের ৯ লাখ টাকা আয়!

রাঙামাটি বনরূপা, হর্টিকালচটার সেন্টারের উপ-পরিচালক, ড. আব্দুল জব্বার বলেন, কৃষকদের মাঝে এই জাতটি ছড়িয়ে দিতে নতুন আরেকটি মাতৃ বাগান সৃষ্টি করেছি। আশা করছি আগামী বছর থেকে কৃষকদের মাঝে এই চারা বিতরণ করা সম্ভব হবে। আগাম ফলন হওয়ায় পেয়ারার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখছেন এই কর্মকর্তা।

এসি/ আই.কে.জে/




বারি পেয়ারা ৪

খবরটি শেয়ার করুন