সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থবিরতা সত্ত্বেও বিক্রি বেড়েছে অ্যামাজনের

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, ৭ই আগস্ট ২০২৩

#

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্থবিরতা থাকলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের ব্যবসা বেশ চাঙা হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ডি জ্যাসির বিতরণ কৌশলের কারণে তাদের বিক্রি ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে তাদের বিক্রি ১১ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে অ্যামাজন।

গত ১১-১২ জুলাই অ্যামাজন তাদের বিশেষ গ্রাহকদের জন্য বিশেষ আয়োজন করে। এই দুই দিনে তারা প্রায় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পণ্য বিক্রি করে যা ছিল প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রয়ের দিন। এদিকে এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তারা ৬৭০ কোটি ডলার মুনাফা করলেও গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ২০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখে পড়েছিল। এত দ্রুত অ্যামাজন লোকসান থেকে উত্তরণ লাভ করবে তা বাজার বিশ্লেষকেরা কল্পনাও করতে পারেনি। গত এক বছরের মধ্যে এটিই তাদের সবচেয়ে বেশি মুনাফার রেকর্ড। 

এব্যাপারে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেছেন, এই পরিসংখ্যান বলে, গত ত্রৈমাসিকে কোম্পানির কতটা অগ্রগতি হয়েছে। তাদের আর্থিক সাফল্যের পেছনে আছে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ব্যবসা বা এডব্লিউএস ও বিজ্ঞাপন। এডব্লিউএসের বিক্রি বছরে ১২ শতাংশ বেড়েছে, যদিও তারা বলছে, এই প্রবৃদ্ধি একধরনের স্থিতিশীল। এ ছাড়া বছরে বিজ্ঞাপনের আয় বেড়েছে ২২ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, অ্যামাজন এখন বড় বিনিয়োগ করছে; বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের অন্যতম প্রধান আগ্রহের জায়গা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ ছাড়া অ্যামাজনের শেয়ারের দাম চলতি বছর ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজনের অনলাইন বিক্রি এপ্রিল থেকে জুন সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ বেড়েছে, যদিও বছরের শুরুতে বেচাবিক্রি ভালো ছিল না। ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু লিপসম্যান বলেছেন, কোম্পানিটির ই–কমার্স ব্যবসায় এই উত্থান বছরের বাকি সময়ের জন্য উৎসাহজনক। এ ছাড়া গত বছর কোম্পানিটির বৈশ্বিক বিক্রির হার নিম্নমুখী থাকলেও এ বছর তা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।

দুই বছর আগে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন অ্যান্ডি জ্যাসি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাঁর প্রধান লক্ষ্য ছিল কোম্পানির ব্যয় কমানো ও কর্মীদের দক্ষতার উন্নয়ন। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক অদক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় এবং পণ্য বিতরণ প্রক্রিয়ায়ও বেশ পরিবর্তন আনা হয়।

অ্যামাজনের ব্যবসা অ্যামাজন অ্যামাজনের ব্যবসা চাঙা

খবরটি শেয়ার করুন