শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়দিনে মানতে হবে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনকে উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

দিনটি উদযাপনে প্রতিটি গির্জায় স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি টহল বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বড়দিনে মেনে চলার জন্য ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক বার্তায় এসব নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।   

বড়দিনে মানতে হবে যে সব নির্দেশনা

১. প্রতিটি গির্জায় রাত্রিকালীন ভিডিও ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

২. গির্জার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও আর্মডব্যান্ড নির্ধারণ করে দেয়া। স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা স্থানীয় থানায় পাঠানো ও থানার অফিসারের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করা।

৩. গির্জায় দর্শনার্থীদের ব্যাগ বা পোটলা ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া গির্জা এলাকায় সন্দেহজনক কোনো ব্যাগ বা পোটলা পরে থাকতে দেখলে বা দৃষ্টিগোচর হলে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাৎক্ষণিক অবহিত করতেও বলা হয়েছে।

৪. আর্চওয়ে গেট স্থাপন এবং মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে তল্লাশির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

৫. প্রতিটি গির্জায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৬. আলোকসজ্জার কাজে গুণগতমান সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করতে হবে।

৭. আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।

৮. প্রতিটি গির্জা ও অনুষ্ঠান এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং বিকল্প আলোর (জেনারেটর) ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৯. প্রতিটি গির্জার জন্য পরিদর্শন রেজিস্ট্রার প্রস্তুত এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।

১০. আবাসিক এলাকায় বাড়ির ছাদ, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ডিজে পার্টি এবং উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।

১১. ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

১২. স্থানীয় কাউন্সিলর, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা এবং তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংবলিত ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১৩. কোনো দুর্ঘটনা বা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে, দ্রুত পুলিশকে জানানো এবং জরুরি প্রয়োজনে গির্জা কমিটিকে থানার ফোকাল পয়েন্ট অথবা ৯৯৯ নম্বরে সেবাগ্রহণ করা অথবা মেসেজ টু কমিশনার (এমটুসি) এর জরুরি নম্বর ০১৩২০২০২০২০ ও ০১৩২০১০১০১০-তে এসএমএস করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ওআ/

ডিএমপি বড়দিন

খবরটি শেয়ার করুন