ফাইল ছবি
আমেরিকার ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ পেয়েছে। সচিবালয়সহ সর্বত্র একই আলোচনা।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যের এই সরকারের বিরুদ্ধে এক বছর যাবৎ আন্দোলন করছি। আন্দোলনে ইতোমধ্যে ২২ জন শহীদ হয়েছে। উদ্দেশ্য একটিই, গণতন্ত্রকামী মানুষকে আন্দোলন থেকে দুরে রাখা এবং একদলীয় নির্বাচন করা।
সমাবেশে প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মৃত্যুর আগপর্যন্ত কারো সঙ্গে তিনি আপস করেননি। আরেক নেতা পিন্টুকে জেলের ভেতর হত্যা করেছে। আজকে যারা বন্দি আছেন, তাদের মুক্ত করেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করব।
তিনি আরও বলেন, ৩০ বছর আগের মামলায় বিএনপির নয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এক নেতাকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এগুলো করে ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আবারও তারা ভোটবিহীন নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। সারা পৃথিবী বলছে গত দুটি নির্বাচন চুরি করেছো, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সরকার বলছে যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। অবশ্য তা দেশের মানুষ তো দূরের কথা, পাগলও বিশ্বাস করে না।
সরকারকে ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি টাকার বালু খেয়ে ফেলেছে। আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অবশিষ্টগুলোও খেয়ে ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আগেও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার তারা কৌশল বদলেছে। আদালতকে ব্যবহার করে তারা তত্ত্বাবধায়ক প্রথা বাতিল করে অবৈধ ক্ষমতাকে জায়েজ করে নিয়েছে। বিচারকের মধ্যে ১০ জনের মধ্যে আটজনই এ প্রথা বাতিলের বিপক্ষে বলেছিলেন। তারপরও গায়ের জোরে করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বিএনপি একা করেনি দাবি করে তিনি বলেন, এ দাবিতে ২২ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে আজকের আওয়ামী লীগ।
আরো পড়ুন: ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার সহকারী সচিব রেনা
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
এসকে/