গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম
৫ বোতল মদের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। তবে অর্থপাচার মামলা এবং অস্ত্র মামলায় কারাগারেই থাকতে হবে তাকে।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। নিকেতন ‘এ’ ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। অভিযানে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক গুলি, নগদ প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, বিদেশি মুদ্রা ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওইদিন দুপুরে গুলশান থানায় শামীমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদক জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন