সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরগির পালক দিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, ৬ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মুরগির চাষ বা পোলট্রি ফার্মিং বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। যদিও পরিবেশবিদরা এই ধরনের ফার্মিংকে পরিবেশের জন্য খুব একটা ভাল বলে বিবেচনা করেন না। কিন্তু পোলট্রি ফার্মিং বন্ধ করলে খাদ্যের উপর বিরাট প্রভাব পড়বে। তাই সমাধানে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। মুরগির পালককে কাজে লাগানো হবে পরিবেশের স্বার্থে।

মুরগির পালক দিয়েই তৈরি হবে বিদ্যুৎ। একটি নতুন গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা মুরগির পালক থেকে এক প্রকার সূক্ষ্ম ফাইবার তৈরি করেছেন, যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এমনকি সেই ফাইবার যে কোনও প্রকার জ্বালানীতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুরগির পালককে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়ার দিন এবার শেষ।

ফার্ম থেকে নির্গত হয় ক্ষতিকারক গ্যাসঃ 

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ মিলিয়ন টন পালক পোড়ানো হয়, যা শুধু কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত করে তা নয় বরং সালফার ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাসও বের হয়, যা পরিবেশের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকারক।

আরো পড়ুন : গুগলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হলেন যশোরের রাফসান

তাই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নেন এই মুরগির পালকই বর্জ্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজে লাগবে। সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (NTU) মুরগির পালক নিয়ে গবেষণা শুরু করে। আর এটি থেকে শক্তি উৎপাদন করার কথা জানায়। গবেষণায় দেখা যায়, মুরগির পালক ৯০ শতাংশ কেরাটিন দিয়ে তৈরি। এটি একই প্রোটিন থাকে মানুষের চুলেও।

এই প্রোটিন থেকেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎঃ 

কেরাটিন প্রোটিন থেকে একটি বিশেষ শক্তি  তৈরি করা হবে। গবেষকরা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে এই প্রোটিন বের করতে পারবেন। আর সেই প্রোটিনই খুব সূক্ষ্ম ফাইবারে রূপান্তরিত করা হবে। সেই ফাইবারকে অ্যামাইলয়েড ফাইব্রিল বলা হয়। এগুলি জ্বালানী কোষে পরিণত করা হবে। সেই জ্বালানী কোষ, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন মিশ্রিত করে বিদ্যুৎ, তাপ এবং জল উৎপন্ন হয়, যা কার্বনডাই অক্সাইড-মুক্ত বিদ্যুৎ।

এই গোটা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এতে জ্বালানী কোষ তৈরির জন্য বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে না। ফলে পরিবেশের পাশাপাশি মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক নয় এই বিদ্যুৎ। তবে গবেষকদের মতে, এই গোটা পদ্ধতি শুনতে সহজ মনে হলেও মুরগির পালক থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা মোটেই সহজ কাজ নয়। সবই সময়ের অপেক্ষা। তবে পরবর্তীকালে যে মুরগির পালক আর আবর্জনায় ফেলতে হবে না, তা বলা যেতেই পারে।

এস/ আই. কে. জে/ 

বিদ্যুৎ মুরগির পালক

খবরটি শেয়ার করুন