ছবি: সংগৃহীত
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী চীনের উন্নয়ন লক্ষ্যণীয়। সামরিক-শিল্প-প্রযুক্তি সবদিক দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করছে চীন।
গত অক্টোবরে ২০তম পার্টি কংগ্রেসের সময় শি যখন তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই তার স্বৈরাচারী মনোভাব সবার সামনে আসে। কংগ্রেসে শি বলেন, পার্টির সামরিক শাখা, পিপলস লিবারেশন আর্মিকে চীনের মর্যাদা এবং মূল স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
এটা স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবাহি রণতরীগুলোর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটিয়ে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলতে চাইছে। সামরিক কর্মী ও অস্ত্র আধুনিকীকরণের জন্য কাজ এবং সেনাবাহিনীর কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শি'র উচ্চাকাঙ্ক্ষাই প্রকাশিত হয়।
কংগ্রেসের ২৪ সদস্যের পলিটব্যুরোতে ১৩ জন নতুন সদস্য যোগ্য দেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ঝাং গুওকিং, ইউয়ান জিয়াজুন, লি গাঞ্জি, মা জিংরুই এবং লিউ গুওঝং। এরা সবাই ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজার থেকে স্থানীয় এবং পরবর্তীতে জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
তাছাড়া এদের সবারই গড় বয়স ৬০ বছরের নিচে। অর্থাৎ এরা পূর্বের তুলনায় তুলনামূলক তরুণ নেতা। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের ধারণা, এই নেতারা সম্ভবত আরও এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে চীনের রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামোর একেবারে শীর্ষে থাকবেন।
এই দলটি চীনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শি'এর স্বপ্নপূরণে কাজ করছেন। অর্থনৈতিকভাবে, দলটি ক্ষমতার একচেটিয়া অধিকার বজায় রাখা এবং পার্টির চূড়ান্ত স্বার্থের জন্য বাজারের শক্তিকে কাজে লাগাবে। অন্যদিকে চীনা সামরিক বাহিনির অস্ত্র উন্নয়নেও কাজ করবে।
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের তত্ত্বাবধান করবে দলটি। একইসাথে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে চীনের সম্পর্ককে বন্ধুত্বপূর্ণ করার চেষ্টাও চালাবে।
তবে এ ধারণাগুলো এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। দলটি কত সফলভাবে পিএলএ এবং পার্টি-রাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত সমন্বয় বাস্তবায়ন করবে তা এখন দেখার বিষয়।
চীনের মূল লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো সারা বিশ্বে তার শক্তি তুলে ধরা কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। শি জিনপিং তার দ্বিতীয় মেয়াদের সময় বলেছিলেন, চীন কখনোই অন্য কোন দেশকে হুমকি প্রদান করবে না এবং পারমাণবিক নীতি বজায় রাখবে।
যাইহোক, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সামরিক উন্নয়নের জন্য বেসরকারী খাতের সংস্থানগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য শির প্রচেষ্টা দেং জিয়াওপিং এবং তার উত্তরসূরিদের "সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ" নীতির অধীনে চীনের ৪০ বছরের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করতে পারে। ফলে চীনেরও পরিণতি সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই হতে পারে।
আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন